তাহিরপুরে অবাধে সিলিন্ডার বিক্রি,রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

    0
    242

    যে কোন সময়  বিস্পোরনের মত ঘটনা ঘটার আশংকায় এলাকাবাসী 

    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে অবাধে অবৈধ ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করার হিরিক পরেছে। এমকি হাওরা লের চায়ের ষ্টলেও এখন বিক্রি হচ্ছে এই গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা,তাপমাত্রা ও নিরাপত্তা রক্ষাসহ যে সকল নিয়ম মেনে ব্যবসা করা প্রয়োজন তার একটিও মানছে না বাজারের ব্যবসায়ীরা। এদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে যে কোন সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা  ঘটতে পারে সেই আশংকায় উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরাসহ আগত ক্রেতগন।
    জানা যায়,সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১১টি উপজেলার চায়ের ষ্টলেও এখন বিক্রি হচ্ছে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার। আধুনিক প্রযুক্তির কারনে প্রতিটি ঘরেই এখন গ্যাসের চুলা দিয়ে রান্নার কাজ হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন ব্যান্ডের গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে ও বাজার গুলোর হোটেলে। ফলে বেশী লাভের আশায় সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ব্যাঙ্গের ছাতার মতই গজিয়ে উঠেছে সরকার অনুমোদনহীন গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার বিক্রি দোকান।

    জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট,বালিজুড়ী,উত্তর শ্রীপুর,তাহিরপুর সদরসহ ৭টি ইউনিয়েন ছোট বড় প্রায় শতাধিক বাজার রয়েছে। আর প্রতিটি বাজারেই রয়েছে ১০-১২টির বেশী গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান। মানুষ জনের চাহিদা থাকায় প্রতিটি বাজারেই গ্যাস সিলেন্ডার বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমানে। প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১হাজার টাকার চেয়ে বেশী। কিন্তু একটির ও নেই লাইসেন্স।

    শূধু তাই নয় তারা দীর্ঘ দিন ধরেই প্রশাসনের নাকের ডগায় খোলাস্থানে,নির্দিষ্ট তাপমাত্রা,নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অবস্থা না রেখেই প্রতিটি দোকানের সামনে ও পাশেই সারি বদ্ধ ভাবে রেখে দিয়েছে। ফলে যে কোন সময় অনাখাংকিত দূর্ঘটনা গঠতে পারে। এই বিষয়ে কারো যেন কোন দায় নেই। যে যার মত চালিয়ে ব্যবসা করছে।
    তাহিরপুর উপজেলার বাজারের ব্যবসায়ী সামায়ুন কবিরসহ জেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন,গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার বিক্রির ব্যবসা করছে সবাই এখন। কিন্তু নাই লাইসেন্স নাই এই ব্যবসা করার অবস্থান ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তার পরও সবাই বেশী লাভের আশায় এই ব্যবসায় যুঁেক পড়ছে। সচেতনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই এই ব্যবসা করা উচিত না। না হলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা গঠতে পারে।
    তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান পলাশ জানান,তাহিরপুর উপজেলায় এবার ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি সেক্টরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সকল প্রকার অবৈধ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।