তাহিরপুরে অবশেষে চেয়ারম্যান ও অন্তঃসত্বার বিয়ে

    0
    251

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬মার্চ,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃসুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আলোচিত উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,আওয়ামীলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও তারই বাড়ির কাজের মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরী তাসলিমা বেগমের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চেয়ারম্যানের নিজবাড়িতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রামের গন্যমান্য বক্তিদের উপস্থিতিতে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাজী সোহরাব হোসেন এই আলোচিত বিয়ে দেন।

    বিয়ের কাবিননামায় দেওয়া ৫০হাজার টাকার মধ্যে ২৫হাজার টাকা নগদ উসল দেওয়া হয়েছে। কিশোরী তাসলিমা বেগম(১৬) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়,কিশোরী তাসলিমা বেগম শিশু বয়স থেকে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের বাড়িতে কাজ করছে। সেই সুবাধে দুজনের মধ্যে সু-সর্ম্পক গড়ে উঠে।

    কিন্তু চেয়ারম্যান বিবাহিত,তার স্ত্রী ও বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে-ছেলে রয়েছে। তাদের অগোচরে কাজের মেয়ে কিশোরী তাসলিমার সাথে শারীরিক মেলা শুরু করেন ওই চেয়ারম্যান। এঘটনায় তাসলিমা ৫মাসের অন্তৎসত্বা হয়ে পড়লে মাসখানেক আগে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সুকৌসলে তাকে পার্শ্ববর্তী মাহারাম গ্রামের কৃষক বিল্লাল মিয়ার ছেলে তারা মিয়ার কাছে সবকিছু গোপন রেখে বিয়ে দেন। পরবর্তীতে তারা মিয়া তার নববিবাহিত স্ত্রী তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করে পুরো ঘটনাটি জানতে পেরে তালক দেয়। এঘটনায় কিশোরী তাসলিমা যাবতীয় ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে তারা এনিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়।

    পরে এই আলোচিত ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। এলাকাবাসীর গুঞ্জন ও বিতর্কের মুখে পড়ে কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আওয়ামীলীগ নেতা,ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন তার বাড়ির কাজের মেয়ে ৫মাসের অন্তসত্তা তাসলিমা বেগমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমতাবস্থায় এবিষয়টি নিয়ে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রচার না হওয়ার জন্য এলাকায় বড়চোরা ও ছোটচোরা হিসেবে পরিচিত দুই সহোদর চাঁদাবাজ আজাদ ও সাজ্জাদ মিয়া সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের নামে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    এব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত মোবাইলে বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উত্তর বড়দল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টা কাজী সোহরাব হোসেন বলেন,আমাদের ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য বক্তিদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান সাহেব সেচ্চায় তার বাড়ির কাজের মেয়ে তাসলিমাকে রেজিস্টারি বিয়ের মাধ্যম্যে গ্রহন করেছেন। এঘটনায় পুরো সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।