তালেবান জঙ্গিদের হামলায় শতাধিক শিশুসহ ১৩২ জন নিহত

    0
    444

    আমারসিলেট24ডটকম,১৬ডিসেম্বরঃ পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত  স্কুলে তালেবান জঙ্গিদের পৈশাচিক হামলায় শতাধিক শিশুসহ ১৩২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১২২ শিশু। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পাকিস্তানে তিন দিনের শোক ঘ

    এদিকে জিম্মি উদ্ধার অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে  গুলিবিনিময়ে ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেখানে আর কোনো জঙ্গি নেই বলে জানানো হয়েছে।
    অনেক শিক্ষার্থীকে ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও সেনাবাহিনীর প্রধান রাহিল শরিফ বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

    প্রধানমন্ত্রী বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। এর আগে সেখানে পৌঁছে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান উল্লেখ করে উদ্ধার অভিযান নিজে তত্ত্বাবধান করবেন বলে জানান।

    প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা অবশ্যই দুষ্কৃতিকারীদের ছাড় দেব না। তবে এর আগে শিশুদের নিরাপদে মুক্ত করাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    মঙ্গলবার সকালে এ হামলার সময় জঙ্গিরা সেনা পোশাকে স্কুলে ঢোকে। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র  খোরাসানি জানান,  ওই স্কুলে তাদের ছয়জন সদস্য হামলা চালায়। হামলাকারীদের স্কুলের বড় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযানের প্রতিবাদে এ পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সেনাবাহিনী জানায়, ওই স্কুলে ছয়জন বন্দুকধারী ঢুকে হামলায় চালায়। আর পুলিশ জানায়,  স্কুলের দেয়াল ডিঙিয়ে জঙ্গিরা সেখানে প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিবিনিময় চলছে।

    লেডি রিডিং হাসপাতালের কর্মকর্তা ইজাজ খান জানান, তাদের হাসপাতালে আহতদের অনেকের চিকিৎসা ও অপারেশন চলছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    রয়টার্সের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কুলটির এক শিক্ষক বলেন, স্কুলে পরীক্ষা নেয়ার সময়টাতেই হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। জঙ্গিরা সেখানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে জিম্মি করেছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান,  সেনারা চারদিক থেকে স্কুলটি ঘিরে রেখেছে।

    বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্কুলটিতে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। সেনাসদস্যরা স্কুলটির শ্রেণীকক্ষ এক এক করে মুক্ত করা শুরু করেছেন।

    উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খায়বার-পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে অবস্থিত স্কুলটি পাকিস্তানের আর্মি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হয়। সারা দেশে এ ধরনের প্রায় দেড় শ স্কুল রয়েছে।  সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের সন্তানরা এখানে পড়াশোনা করে।  শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছর।  স্কুলটির শিক্ষকদের বেশির ভাগ সেনাসদস্যদের স্ত্রী। সূত্র: ডন, রয়টার্স, এএফপি ও ওযেবসাইট।