তারেক কোকো সহ দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে আনার কাজ চলছে

    0
    224

    আমারসিলেট24ডটকম,০৯এপ্রিলঃবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ২ ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের সাথে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার সচিবালয়ে ‘বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের বাংলাদেশে ফেরাতে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামিদের সঙ্গে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকেকে দেশে ফেরাতে এই টাস্কফোর্স উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দেননি আইনমন্ত্রী।
    আইন মন্ত্রী বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা সবার বিষয়েই আলোচনা করেছি। ঘন ঘন টাস্কফোর্সের সভা হবে, যা বোঝার বুঝে নিয়েন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফেরাতে ২০১০ সাল থেকে এই টাস্কফোর্স কাজ করলেও এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। মামলা মাথায় নিয়ে যারা বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের বাংলাদেশে ফেরত এনে বিচার করতে গত ২৫ মার্চ টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে সরকার।
    আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের এই টাস্কফোর্সের প্রথমে বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নামের তালিকা করার কথা রয়েছে। এরপর আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ এবং ফেরত আনার কার্যক্রম তদারকি করবে এই টাস্কফোর্স।
    আনিসুল বলেন, এই টাস্কফোর্সটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সম্পূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। তবে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তা বলতে পারছি না। তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে এই টাস্কফোর্স কি কি কাজ করেছিল তা অবহিত হয়েছি। এই টাস্কফোর্সকে গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অগ্রগতি দেখতে চাইলে আপনাদের (সাংবাদিক) অপেক্ষা করতে হবে।
    নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে জানিয়ে আনিসুল বলেন, তাকে কানাডা থেকে আনা কঠিন হবে। তবে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান রয়েছে তা সংশোধনে সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
    তারেক রহমানের প্যারোল বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারেক এখনো কোনো মামলায় সাজা পাননি, একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে। তিনি বলেন, আদালত তার (তারেক) জামিন বাতিল করে কোর্টে হাজিরের আদেশ দিয়েছেন। তিনি হাজির হয়নি, তাই তিনিও পলাতক। এছাড়া কোকোর সাজা হওয়ার পরেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় সেও পলাতক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ টাস্কফোর্সের অন্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
    প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এম এ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং খন্দকার আবদুর রশিদ লিবিয়ায় অবস্থান করছেন। শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন ও আবদুল মাজেদ কোন দেশে রয়েছেন কিংবা বেঁচে আছেন কি না, সে বিষয়ে সরকারের কাছেও সুষ্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
    একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার) বিদেশে পালিয়ে আছেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় বিচারে দণ্ডিত হন আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন। এদিকে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মুদ্রাপাচারের মামলায় দণ্ডিত। তার বড় ছেলে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।