ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাসেল বিল্লাহ গ্রেফতার

    0
    250

    নড়াইল প্রতিনিধি:  নড়াইল পৌর এলাকার উজিরপুর এলাকায় চার বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি, মিথ্যাচার ও হেয় প্রতিপন্নের অভিযোগে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভুয়া কর্মকর্তা ও ‘টিম তারুণ্য-১০০’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাসেল বিল্লাহকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে তাকে শহরের মহিষখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিকেলে সদর আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেন রাসেল বিল্লাহ।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার এসআই এনামুল হক জানান, দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর রাসেল বিল্লালকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে।
    মামলার বাদী ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, গত ৩০ আগস্ট রাতে নড়াইল পৌর এলাকার উজিরপুর এলাকা থেকে চার বছরের একটি শিশুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর হাসপাতালের নারী চিকিৎসকের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
    তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ এবং ‘টিম তারুণ্য-১০০’ নামে দু’টি সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে রাসেল বিল্লাহ নামে এক যুবক ধর্ষণের ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট দিতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়া চিকিৎসকদের নামে নানা মিথ্যাচার ও হেয় প্রতিপন্নমূলক কথাবার্তা বলে। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেও নানা ধরণের অপপ্রচার চালায় রাসেল বিল্লাহ।
    উল্লেখ্য, গত ৩০ আগষ্ট রবিবার দুপুরে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর প্রতিবেশী বখাটে অপু বিশ্বাস বেলা ১২টার দিকে শিশুটিকে মোবাইল ফোনে ছবি দেখানোর প্রলোভনে বাড়ির পাশের নির্জন বাগানের ঝোপে নিয়ে ধর্ষন করে। ঘটনার পর শিশুটি বাড়ি ফিরলেও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায় নি, রাতে ভাত খাওয়ার সময় মাকে ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে টিম তারুণ্য হানড্রেড এর সহযোগিতায় ঐ দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং অভিযুক্ত বখাটে অপু বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে।
    পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন জানানো হয়, শিশুকে হাসপাতালে ভর্তির সময় কর্তব্যরত ডাক্তার অভিজ্ঞ মহিলা নার্চের সহযোগীতায় প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ধর্ষনের আলামত আছে বলে জানান। কিন্তু পরবর্তিতে তরিঘড়ি করে অপু বিশ^াসের পিতার অর্থের জোরে হাসপাতাল থেকে ধর্ষনের রির্পোট পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।