ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ১৭বছর পর বাবার সাথে পরিচয়

    0
    483

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪মে,গীতি গমন চন্দ্র রায়,পীরগঞ্জ,ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জন্মের ১৭ বছর পর পিতৃ পরিচয় পেল পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আক্তার। বাবাকে কাছে পেয়ে অতীতকে ভুলে গিয়ে আনন্দে ভাসছে সুমীসহ তার আতœীয় স্বজনেরা।

    তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে পীরগঞ্জ পৌরসভাস্থ রঘুনাথপুর গ্রামের আমিরুল্লার কন্যা শেফালী বকুল এর সহিত সাটিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের বিবাহ হয়। বিবাহের তিন বছর পর শেফালীর কোল জুড়ে আসে শিশু সন্তান সুমি আক্তার। আর এর পরেই তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তি। এক পর্যায়ে সুমির বয়স যখন ৬ মাস তখনই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়েকে মানুষ করার যুদ্ধ চলতে থাকে শেফালীর।

    বর্তমানে সুমি আক্তার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এতদিন পিতৃ পরিচয় না থাকায় সুমি আক্তার মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপার সহযোগীতায় তার বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সন্তান হিসেবে পারিবারিক সকল সম্পর্ক ও দায়-দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।

    এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিরসনের জন্য পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। ওসি আমিরুজ্জামানের প্রচেষ্টায় গত শনিবার বিকেলে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে শরিফুলের কন্যা সুমি আক্তারকে নিজ জন্মদাতা মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন তার পিতা শরিফুল ইসলাম। তাই এখন আনন্দে ভাসছে সুমির পরিবার। সুমি আক্তার জানায়, আগে আমি আমার পিতৃ পরিচয় দিতে পারতাম না কিন্তুু এখন থেকে পারবো। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ ও ওসি আমিরুজ্জামান সাহেবের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
    এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, মানবিক বিবেচনায় উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তার বাবার হাতে সুমিকে তুলে দেওয়া হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, সুমি আক্তার তার পিতৃ পরিচয় পেয়েছে এবং মেয়ে হিসেবে সকল প্রকার অধিকার ও ভরন পোষন পাবে।