ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের স্বেচ্ছারারিতা

0
301
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের স্বেচ্ছারারিতা
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের স্বেচ্ছারারিতা

স্টাফ রিপোর্টার:  ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা সরেজমিনে দেখতে পাওয়া যায়।

গত ২৪শে মে ২০২২ ইং তারিখে মঙ্গলবার সকাল ০৯.০০টায় পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের মাঠ ও বারান্দায় ছাত্র ছাত্রীরা চিল্লা হাল্লা হৈচৈ,হট্টগোল করতে থাকেন। সে সময় গণমাধ্যম কর্মীরা স্কুলে গিয়ে সকাল ৯টা হতে সাড় ৯টা পর্যুন্ত শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।

সরেজমিনে দেখা যায়,বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিমল চন্দ্র রায় প্রথমে ৯.৩০ মিনিটে স্কুলে আসে স্কুলের তালা খোলেন।সে সময় সহকারী শিক্ষক পরিমল চন্দ্র রায় কে বিদ্যালয়ে দেরীতে আসার কথা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে এরিয়ে চলেন।

এরপরে সহকারী শিক্ষক শান্তনা রানী ৯.৩৪মিনিটে স্কুলে আসেন এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ত্যাইয়েবা খাতুন ৯.৪০ মিনিটে তাঁর স্বামী পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশিষ্ট কোচিং ব্যবসায়ী মোঃরাজা সহ স্কুলে আসেন।সুমতি রানী সকাল ৯.৪৪ মিনিটে স্কুলে আসেন।

সে সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলে দেরীতে আসার কথা জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ত্যাইয়েবা খাতুন সাংবাদিককে কোন উত্তর দিতে পারবে না বলে অসৌজন্যমূলক আচরণে কথা বলে এবং সে সময় পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাজা সাংবাদিককে বলেন কোন শিক্ষক কয়টায় আসলো এটাকি তোমাদের দেখার দায়িত্ব দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেন।

অথচ মোঃ রাজা একজন পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাঁর নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে বাঁশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সময় ক্ষেপন করেন। সে সময় কতজন শিক্ষক হাজির হয়েছেন এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ত্যাইয়েবা খাতুনের কাছে দেখতে চাওয়া হলে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাজা সাংবাদিককে বলেন তোমাদের হাজিরা খাতা দেখার একতিয়ার নেই, কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হাজিরা খাতা দেখানো যাবেনা বলে সহকারী শিক্ষক রাজা বলেন।

উক্ত বিদ্যালয়ে সকাল সারে ১১ টা বাজলে পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রাজা বউয়ের পক্ষে ওকালতি করার জন্য বাঁশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করেন।

অপরদিকে সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গের সাথে কথা হলে তারা বলেন আজকে শিক্ষকদের অবহেলার কারণে অভিভাবকরা বাচ্চাদের বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও কেজি স্কুলে টাকা দিয়ে পড়াশোনা করাচ্ছেন।

আরও জানান, শিক্ষকরা সকাল ৯টায় না আসে প্রায় সাড়ে ১০টা ১১টা হতে সাড়ে ১১টায় স্কুলে আসেন।তাদের বিষয়ে অবিভাবকেরা কথা বললে তাদেরকেই বিভিন্ন হুমকি দেন।অথচ সরকারি অর্থ প্রতিমাসে উত্তোলন করেন।শিক্ষকদের এহেন কার্যকলাপ থাকায় অনেক অভিভাবক কেজি স্কুল, ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলে টাকা দিয়ে পড়াশোনা করাচ্ছে তাদের সন্তানের। কিন্তু বিনা পয়সায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতে চান না।তারা এধরণের স্কুলে সময় মত না আসা শিক্ষকদের কর্তৃপক্ষের প্রতি বহিষ্কারের দাবী জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে জানান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং এ বিষয়ে এটিও শাহাজান আলীর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে বলেন আমরা শিক্ষকদের ডাকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।