জৈন্তাপুরে ৫ কৃষকের পরীক্ষা মূলক চায়নিজ রেস্তোর সব্জী চাষ

    0
    222

    কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়াই তাদের এই উদ্যোগ 

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ  সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার রাংপানি গ্রামের ৫কৃষকের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্দ্যোগ। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়াই তারা উৎপাদন করছে চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের সব্জী। সটিক ভাবে চাষাবাদ করলে বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৫লক্ষ টাকার ফলন পাওয়া যাবে। সরকারি ভাবে উদ্যোগ নিলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হতে চাইনিজ রেষ্টেরেন্ট গুলোর সব্জী আমদানি কিংবা চোরাই পথে আনতে হবে না বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

    সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানাযায়- জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের রাংপানি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম(৩০), জাহাঙ্গীর আলম(৪০), সুরুজ মিয়া(৩০), আবুল হোসেন(৩৫), হাবিব মিয়া(৩২) দীর্ঘদিন ঢাকায় কাওরান বাজারে সব্জী মার্কেটে কাজ করেছে। তারা দেখেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হতে বিভিন্ন রোড দিয়ে আমদানী করে ঢাকায় সব্জী বাজারে এনে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করে থাকে।

    ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে জানাতে পারেন স্বাভাবিক শীত কালীন সব্জীর ন্যায় এই সব্জীগুলো চাষ করা হয়। সটিক ভাবে পরিচর্যা করলে বিঘা প্রতি ২হতে ৩লক্ষ টাকার ফলন পাওয়া যাবে। কৃষকরা সরকারি কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই নিজস্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা এই প্রথম জৈন্তাপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে ৬বিঘা জমিতে লেডুস পাতা, চাইনিজ পাতা, পদিনা পাতা, টেষ্টি সল্ট পাতা, বিট, বাফুলী কপি, লাল বাধাঁ কপি, সাদা শালগম, ক্যাপসীকাম মরিছ, রাজ টমেটো, শেরী টমেটো এছাড়া চাইনিজের পাশাপাশি দেশীয় ফুল কপি, বাধাঁ কপি, বেগুন, ভূই শশা চাষ করেছেন। তাদের ৬বিঘা জমিতে অন্তত ১লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।

    কৃষকরা আশা প্রকাশ করে বলেন সটিক ভাবে ফলন উত্তোলন করতে পারলে ৬বিঘা ভুমিতে উৎপাদিত চাইনিজ জাতের সব্জী হতে ১০ থেকে ১২লক্ষ আয় করবে। সরকারী দিক নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশি কৃষকরা দেশিয় জাতের ফলনের সমপরিমান খরচে চায়না জাতের কৃষি সব্জী চাষ করে ৩গুন বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে। উপজেলার মধ্যে এই প্রথম চায়না প্রযুক্তির সব্জী চাষ করেছেন যাহা স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের লোকজন এখনও জানেন না। ইতি মধ্যে তারা তাদের উৎপাদিত চায়না সব্জী ঢাকা ও সিলেটের বাজারে বিক্রয় করে প্রায় ১লক্ষ টাকা উপার্জন করেছে।

    স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর কর্মকর্তারা যদি উপজেলা পর্যায়ে শতভাগ কৃষি বিপ্লব ঘটতে চায় তাহলে কৃষক পর্যায়ে লেডুস পাতা, চাইনিজ পাতা, পদিনা পাতা, টেষ্টি সল্ট পাতা, বিট, বাফুলী কপি, লাল বাঁধা কপি, সাদা শালগম, ক্যাপসীকাম মরিছ, রাজ টমেটো, শেরী টমেটো চাষের সটিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে। তাতে পার্শ্ববর্তী দেশে ভারত হতে এসকল সব্জী আমদানী কিংবা চোরাইপতে আনতে হবে না। পাশাপাশি বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাহিরে প্রেরন করে বৈদেশিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সাজু বেগম বলেন- তার দেখামতে অত্র ইউনিয়নে কোথায় এসকল সব্জী চাষ কিংবা স্থানীয় বাজারে দেখেননি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন সরকারী উদ্যোগে কৃষক পর্যায়ে যদি এফলন ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে কৃষি বিপ্লব ঘটবে।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন- তার দেখা মতে এই প্রথম জৈন্তাপুর উপজেলায় ৫কৃষক মিলে ব্যতিক্রমধর্মী চায়নিজ সব্জী চাষ করেছে এবং ফলনও বাম্পার হয়েছে।

    তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন তাদের দেখাদেখি উপজেলায় অনেক কৃষকদের মধ্যে এফলনের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।