জৈন্তাপুরে ৫শত একর বোরো ভূমি বেড়ী বাধেঁ বৃক্ষ রোপন

    0
    289

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  জৈন্তাপুরে নিজস্ব পতিত ভূমি বোরো ধানের আওতায় নিয়ে আসতে সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে ৭১টি পরিবারের প্রায় ৫শত একর ভূমি প্রথম বারের মতন বোরা ফসলের আওতায় নিয়ে আসতে নিজ উদ্যোগে ১০হাজার ফুট বেড়ী নির্মাণ ও বাধঁ রক্ষায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করে।
    সরেজমিনে ঘুরে যানাযায়, হিঙ্গারীকোন (শিংকুড়িকোনা) এলাকার সোটারী সেনগ্রামের কৃষকদের নিজস্ব ভূমি পতিত হিসাবে হাওরে পড়ে রয়েছে বিশেষ করে বেড়ী বাঁধের অভাবে কোন সময় পতিত ভূমিগুলো কৃষি চাষাবাধঁদের আওতায় আসেনি। এবার নিজ উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথম বারের মত প্রায় ৭১টি পরিবারে সদস্যরা প্রায় ৪০লক্ষ টাকা ব্যায়ে ১০হাজার ফুট বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করে প্রায় ৫শত একর ভূমি বোরোধান চাষাবাদের উপযোগী করে তুলে। বাঁধটি বন্যার পানি এবং ফসল রক্ষার জন্য সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন বাঁধটির উপর ১৫হাজার বৃক্ষের চারা রোপনের উদ্যোগনেন।

    ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলীর সভাপতিত্বে জৈন্তাপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ, উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নোমান আহমদ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির উপস্থিতিত হয়ে বৃক্ষের চারা রোপন উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত আরও উপস্থিত ছিলেন সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সদস্য কলিম উল্লাহ, আহমদ আলী, হানিফ আলী, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, হাজী নজির হোসেন, কুদ্রত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি বলেন, আমরা নিজ উদ্যোগে বাঁধটি নির্মাণ করার ফলে স্বাধীনতার পরবর্তীতে প্রথমবারের মত আমাদের নিজস্ব পতিত ভূমিগুলো চাষাবাঁধের আওতায় নিয়ে আসায় আমাদের ৭১টি পরিবারের ৮শতাধীক সদস্যরা নিজ উৎপাদিত ধানে দিয়ে পুরো বৎসর চলে গিয়ে আরও বিক্রয় করতে পারব। আমরা আশাবাদি জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস যদি কৃষকদের মধ্যে বোরো ধান চাঁষের পরামর্শ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তাহলে আমরা চাহিদার চাইতে আরও বেশি ফলন পাব। উপজেলায় সর্ববৃহত বোরো ধানের একটি বড় প্রকল্প হবে হিঙ্গারী কোন (শিংকুড়িকোনা) বোরো ধান প্রকল্প।
    তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাদের নিজস্ব ভূমিতে বাঁধ নির্মাণ করে বোরো ধান চাষের আওতায় নিয়ে আসার কারনে ফাল্লি বিলের ইজারাদার আব্দুল খালিক, জয়নাল মিয়া, আব্দুল্লাহ ও তোতা মিয়া গংরা শত্রুতা শুরু করেছে। তারা বাঁধটি ভাঙ্গার পায়তারা করতেছে। ইতোমধ্যে ইজারাদার গংরা ফাল্লি বিল ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে তাদের বাঁধটি তিনটি অংশে কর্তন করে। এই বাঁধ কর্তনের কারনে চাষাবাধেঁর ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক আইনি সহযোগিতা কামনা করেন।