জৈন্তাপুরে সার বিতরণে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নিতির অভিযোগ

    0
    215

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে সার বিতরন না করে অকৃষকদের মধ্যে সার কিটনাশক ও অন্যান্য উপকরন বিতরন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষি কর্মকর্তাসহ ইউপি সদস্যরা জড়িত রয়েছেন বলে একাধিক কৃষকের অভিযোগ। অভিলম্বে প্রকৃত কৃষক নির্ধারন করে সার বিতরনের দাবী জানান সাধারণ কৃষকরা।
    অভিযোগ সূত্রে জানাযায়- জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রকৃত গরীব ও কার্ডধারী কৃষকদের বাঁধ দিয়ে তার মনোনিত কৃষকনন এমন ব্যক্তিদের মাঝে সরকারী সার কিটনাশক অন্যান্য উপকরন বিতরন করছেন বলে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে।

    এছাড়া বিগত বৎসর সহ চলতি বৎসরে কার্ডধারী কৃষকদের বাঁধ দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে তার মনোনিত অকৃষদের মাঝে সার বিতরন করে। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে যানাযায়- জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ১নং ৩নং, ৪নং ও ৭নং ওয়ার্ড ব্যাতিত অন্যান্য ওয়ার্ড গুলোতে প্রকৃত কৃষক যাচাই বাছাই ছাড়াই সরকারী সার বিতরনের তালিকায় রয়েছেন অকৃষক। অনেক ক্ষেত্রে কৃষি কার্ড ধারীদের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবী সরকার প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকির আওতায় বিনামূল্যে সার কিটনাশক বিতরন করার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকদের বাঁধ দিয়ে কৃষকনন এমন ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে সার বিতরনের অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইউপি সদস্যরা কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে তালিকা কৃষি অফিসে প্রেরণের পর তা ফিন্ড অফিসারদের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিস যাচাই বাছাই করার করবে। জৈন্তাপুরে উপজেলা কৃষি অফিস যাচাই বাছাই ছাড়াই ইউপি সদস্যদের তালিকা অনুযায়ী সার বিতরনের উদ্যোগ গ্রহন করেন।
    অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিগত ২১সেপ্টেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলাররা। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন জৈন্তাপুরে যোগদানের পর হতে নানা অনিয়নের মাধ্যমে তাদের নিকট হতে উৎকোচ আদায়ের চেষ্টা করতে চান। লিখিত অভিযোগে আরও জানাযায় সারের বরাদ্ধ নিতে প্রত্যায়ন পত্র, আগমনি বার্তা দেওয়ার পরও ডিলারদের গোদাম পরিদর্শন ষ্টক রেজিষ্টার স্বাক্ষর করেন না কৃষি কর্মকর্তা এবং সার বিক্রয়ের অনুমতি দেন না। ফলে ডিলাররা উপজেলা সাধারণ কৃষকদের কাছে সঠিক সময়ে সার বিক্রয় করতে না পেরে তাদের কে ফিরিয়ে দেন। মোঃ ফারুক হোসাইন বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সাধারন কৃষকদের দাবী আমরা সটিক সময়ে ডিলাদের নিকট সার পাই না। সরকারী সার বিতরনের ক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষদের সার না দিয়ে অকৃষকদের মধ্যে সার বিতরনের অভিযোগ করেন। অভিলম্বে তারা সার বিতরনের কার্যক্রম বন্দ করে পুনরায় প্রকৃত তালিকা প্রনয়ন করে সার বিতরনের দাবী জানান।
    এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসোনের সাথে জানাতে চাইলে তিনি বলেন- ইউপি চেয়ারম্যান তালিকা তৈরী করে আমাদের নিকট প্রেরন করেন আমরা সেই অনুযায়ী সার কিটনাশক বিতরন করি। কর্ডের তুলনায় বরাদ্ধ কম তাই অনেক ক্ষেত্রে কৃষকরা বাদ পড়ে। ফিন্ড অফিসারদের মাধ্যমে কৃষক যাচাই করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমরা যাচাই করে থাকি। আপনার বিরুদ্ধে ডিলারদের অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন- ডিলারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, পরবর্তীতে তারাই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়।