জৈন্তাপুরে সরকারি ছড়ার গতিপথ পরিবর্তন ও দখল অভিযোগ

    0
    241

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ    জৈন্তাপুরে সরকারি ছড়ার গতিপথ পরিবর্তন করে ভূমি দখল ও জন দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে ভূমি খেকু চক্র। ছড়ার নি¤œা লের প্রায় ৬শত পরিবারের লোকজন গোসল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য পানি পাচ্ছে না ও ছড়ার উপরি অংশের লোকজনের ফসল ও মৎস্য খামারের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন করে প্রতিকার হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
    অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াবাড়ী এলাকাঘুরে দেখাযায়- মেঘালয় হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ছাছি ছড়া। এছড়ার পানি ব্যবহার করছে গোয়াবাড়ী এলাকার প্রায় ৯শত পরিবার। ছড়াকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫শত একর পতিত ভুমিকে কৃষির আওতায় নিয়ে এসেছে ছড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসিন্ধরা। ভুমি খেকু চক্রের সদস্য তাদের স্বার্থের জন্য সরকারি ছড়ার ভূমি দখল এবং পরিকল্পিত ভাবে কৃষির ফসল ধ্বংসের জন্য বাঁধ দিয়ে জমি দখলে নিয়েছে। ফলে কৃষকের ফসল ফিসারী ধ্বংসের পথে এবং ছড়ার নিম্লা লের বাসিন্ধরা পানি শূণ্যতায় ভোগতেছে।
    অভিযোগ সূত্রে যানাযায় গোয়াবাড়ী গ্রামের মৃত কটন আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন(৬৫), তার ছেলে মাহিম আহমদ(৩২) ও রহিম আহমদ(২৭) গোয়াবাড়ী গ্রামের মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘারয় হতে বহমান ছাছি ছড়ার ইউটানেল অংশে দুটি বাঁধ দিয়ে ছড়ার গতি পরিবর্তন করে সরকারি জমি দখল করছে। অপরিকল্পিত এই বাঁধের ফলে বাঁধের উপরিংশের প্রায় ৫শত একর ভুমিতে কৃষকের ফসল সহ মৎস্য খামারের তলিয়ে যাচ্ছে এবং ছড়ার নি¤œা লের প্রায় ৬শত পরিবারের লোকজন পানির অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য পানি পাচ্ছে না। এলাকাবাসী গত ৪জানুয়ারী জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এলাকার লোকজন আরও জানান গৌছ মিয়ার পরিবারের কাছে এলাকাবাসী অসহায়। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেন না। জনসাধারন পতিত ভূমিকে কৃষির আওতায় নিয়ে আসায় কারনে কৃষকরা লাভবান হবে দেখে তিনি পূর্ব পরিকল্পনা করে গোয়াবাড়ী গ্রামের মধ্যে দিয়ে বহমান ছাছি ছাড়ায় ইউ টানেল অংশে দুটি বাঁধ দিয়ে ছড়ার ভুমি দখল করেছে। ছড়ার গতি পরিবর্তন করে পাহাড় অংশে একটি ছোট ড্রেইন নির্মাণ করেন যার মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে হলে কৃষকের ফসলি জমি মৎস্য খামার তলিয়ে যাবে এবং কৃষক পরিবার গুলোর মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হবে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত বাঁধ অপসারন করার নতুবা ফসল রক্ষার কারনে যে কোন মুহুত্বে কৃষাকরা রক্ষ ক্ষতি সংঘর্ষের লিপ্ত হওয়ার আশংঙ্কা বিদ্যমান রয়েছে।
    এবিষয়ে অভিযুক্ত গৌছ মিয়ার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিম বলেন- এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পর পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জৈন্তাপুরকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    এবিষয়ে সহকারি কমিশনার(ভূমি) মোন্তাসির হাসান পলাশ জানান- বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। বাঁধের কারনে জনসাধারন ক্ষতির সম্মুখিন সহ পরিবেশের বিপর্যয় হবে এমন কর্মকান্ড আশংঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত মোবাইল কোটের মাধ্যমে বাঁধ দুটি ধ্বংস করে দিয়ে ছাছি ছড়াকে অবমুক্ত করা হবে।