জৈন্তাপুরে শিশু অপহরন:সিলেট হতে অপহরনকারী সহ শিশু উদ্ধার

    0
    227

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির: জৈন্তাপুর উপজেলার উপশ্যামপুর হতে শিশু বাচ্ছাকে আত্মীয় সেজে অপহরন করে মুক্তিপন চায় অপহরনকারী। পরে পুলিশের সহায়তায় সিলেটের হুমায়ন চত্ত্বর হতে অপহরনকারী সহ শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    অপহরনকারীর শিশু পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়- বেশ কিছু দিন পূবে সিলেট হতে গাড়ীতে করে আসার প্রক্কালে পরিচয় হয় শিশু বাচ্ছা ফয়াজ উদ্দিনের পিতার সাথে অপহরনকারী সাকিব এর। এর পর হতে বেশ কিছু দিন মোবাইল ফোনে কথা বলে অপহরনকারী। তারই অলোকে পরিচিত হয়ে উঠে ফয়াজ পরিবারের সাথে যাথায়াত করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে সাকিব জৈন্তাপুর উপজেলার উপশ্যামপুর গ্রামে ফয়াজ উদ্দিনের বাড়ীতে আত্মীয় হিসাবে বেড়াতে আসে এবং গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ফায়াজের বাসায় থাকে। গতকাল ৮ মে সকাল ১০টায় অপহরনকারী সাকিব সরলতার সুযোগ নিয়ে উপশ্যামপুর গ্রামের ফয়াজ উদ্দিনের ৯বৎসরের ছেলে আরিফ আহমদ নিয়ে সিলেটে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে অনুরোধ করে।

    অনুরোধের সাড়া দিয়ে পরিবার আরিফকে পাঠিয়ে দেয়। সহজ সরল পিতা মাতার কাছ থেকে আরিফ আহমদ নিয়ে সিলেটে পৌছে ফায়াজ উদ্দিনের কাছে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে সাকিব। সাকিবের এমন ফোন পেয়ে হতবম্ভ হয়ে পড়ে আরিফের পরিবার। পরে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য অপহরনকারী সাকিব কে ৩হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে শিশুর পরিবার। এদিকে ৩হাজার টাকায় নিতে রাজি হয় অপহরনকারী সাকিব। টাকাটি ০১৮৭১৫৭৬৮৭১ বিকাশের নম্বরে টাকা পাঠানের কথা বলে।

    এদিকে অপহরনের বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং শিশু আরিফকে উদ্ধারের জন্য সাহায্যে চাওয়া হয়। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাকের নেতৃত্বে এস আই ময়নুল ইসলাম ও শিশু আরিফের পরিবারের সহায়তায় সিলেটে অভিযান পরিচালনা করে হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রক্কালে পুলিশ সাকিবকে আটক করে। আটককৃত নোয়খালী জেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোমিন এর ছেলে সাকিব উরফে মোঃ লিমন হোসেন সাকিব(২৭)।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক জানান- আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টায় নামি। শেষপর্যন্ত শিশু পরিবারে সহযোগিতায় সিলেটের হুমায়ুন চত্ত্বর থেকে অপহরনকারী সহ শিশুটিকে উদ্ধার করি। বর্তমানে অপহরনকারী সাকিবের বিরুদ্ধে নারী শিশু ও অপহরনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর পক্রিয়া চলছে। অপহরনকারী থানা হাজতে রয়েছে।