জৈন্তাপুরে শিশুকে পৈশাচিক ভাবে নির্যাতন

    0
    377

    “১৪ বৎসরের শিশুর মুখে সেফটিপিন আটকিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায়  নির্যাতন'”
    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১সেপ্টেম্বর ,রেজওয়ান করিম সাব্বির :সিলেটের জৈন্তাপুরে মধ্য যুগীয় কায়দায় পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছে। আর সিলেটে যেন কোন ভাবেই থামছে না শিশু নির্যাতন। এবার সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরে ১৪ বৎসরের শিশুর মুখে সেফটিপিন আটকিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় চালানো হয়েছে নির্যাতন।
    এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে যানাজায়- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাটেরছটি যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবি আবুল হোসেনের ছেলে ১৩সেপ্টেম্বর রোববার রাত ৮টা দিকে পিতার জন্য হাওয়রে খাবার নিয়ে যাচ্ছে ১৪বৎসরের শিশু কামরুল। এসময় আব্দুল হান্নান ও হানিফা বেগম শিশু কামরুলকে আটক করে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে হা পা বেঁধে সেখানে ঘন্টা ব্যাপী চলে মানুষরূপী হিংস্র দানবদের অনাবিক নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে কামরুল চিৎকার শুরু করলে মুখে সেফটিপিন আটকিয়ে স্টিলের গ্লাস গরম করে পিঠের ভিবিন্ন অংশে ছ্যাকা দেয়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কামরুলের পিতা ও আশপাশ্বের লোকজন ঘটনাস্থল হতে কামরুল কে উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে গত শনিবার দুপুরে বাড়ী আসে। এঘটনায় নির্যাতিত কামরুলের পিতা আবুল হোসেন (৪৫) বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-০৫, তারিখঃ ১৭-০৯-২০১৫।
    এদিকে কামরুলের পিতা আবুল হোসেন জানান- তার ছেলেকে নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার শারিরিক অবস্থা ভাল নয়। মাথা গলা সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে ছেলের ইচ্ছা অনুযায়ি বাড়ী নিয়ে এসেছি। সোমবার পূনরায় চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী শাহেদুল ইসলাম ও জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির জানান- মামলা রেকর্ডের পর পর মুল আসামী হনিফা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। এছাড়া নৌকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পৈশাচিক নির্যাতনের এঘটনাটি ঘটেছে।