আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১মার্চ,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ জৈন্তাপুরে আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ ১টি ব্যারাকের ১০পরিবারের নগদ টাকা সহ ৫০লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান সূত্রে যানাযায়- গত ১০ মার্চ রাত অনুমান ১০টায় আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের ৮নং ব্যারাকে পল্লী বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মূহুত্বের মধ্যে ব্যারাকের পুরো টিন শেডের ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। কোন রকম ব্যারাকের লোকজন শিশু সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে আসলেও কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অগুনের সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়।
অপরদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিলেট শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাত অনুমান ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌছে এলাকাবাসীর সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও ১০টি পরিবারের কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আগুনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ ১০টি পরিবারের নগদ টাকা সহ প্রায় ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো হলে- আসামপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের মুক্তিযোদ্ধা বিরেন্দ্র কান্ত দেব, শেলী রানী দেব (মুক্তিযোদ্ধা পরিবার), নিপা রানী দেব, সাাবত্রী মালাকার, বাবুল নাথ, এলা রানী দেব, লালন পাল, শেপালী রানী দাস, কাজলী রানী মালাকার, প্রনতী রানী দেব।
এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসেন মোঃ তারেক জানান- আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই প্রকল্পের ৮নং ব্যারাকের সম্পুন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল জলিল সহ ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান- পানি দুরে থাকার কারনে ব্যারাকের কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তিনি প্রশাসন সহ সমাজের সচেতন মহলের কাছে সহযোগীতার দাবী জানান। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার ১০টি পরিবারকে জৈন্তাপুর ষ্টোন ক্রাশার সমিতি নগদ ২হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা করেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ পরিদর্শন করেনি।