আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩মে,রেজওয়ান করিমঃ ভূমি দখলে নিতে জৈন্তাপুরে অর্থশালী পরিবার কর্তৃক নিরীহ পরিবারের মা-ছেলেকে ধরে নিয়ে মাধ্যযোগীয় কায়দায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় থানায় মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছে নিরিহ পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- সড়ক ও জনপথ বিভাগের লেবার হারুন মিয়া পরিবার পরিজন নিয়া বিরাইরামার গ্রামের সড়ক ও জনপথের পরিত্যক্ত ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি তার কষ্ঠে অর্জিত অর্থ জমিয়ে ২বিঘা জমি ক্রয় করে বসতবাড়ী তৈরীর লক্ষে মাটি ভরাট করেছেন।
হারুনের খরিদা জমির উপর কু-দৃষ্টি পড়ে হঠাৎ অর্থশালী হয়ে উঠা নুরুল আমিন কন্টেকট্রারের। তিনি নিরিহ হারুন থেকে জমি টুকু পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।
কিন্ত ভূমিহীন লোবার কাষ্ঠাজিত অর্থের বিনিময়ে খরিদকৃত ভূমি বিক্রয় করতে না চাইলে নুরুল আমি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আর নানা ভাবে হারুনকে মেরে ফেলার হুমকী ধমকী দিয়ে আসছেন। এদিকে নুরুল আমি কন্টেকট্রার গত ২এপ্রিল বিকাল ৩টায় তার ছেলে কামাল হােসেনকে দিয়ে লেবার হারুনের ছেলে মনির হোসেন(১৫) ধরে নিয়ে বাড়ীতে এনে হামলা চালায় শিশু বাচ্ছার উপর।
শুধু মারধর করে ক্লান্ত হয়নি পিশাচরা লোহার রড় দিয়ে মনির হোসেনের হাত ভেঙ্গে ফেলে। এদিকে ছেলেকে ধরে নিয়ে মারপিট করার সংবাদ পেয়ে মা আছিয়া বেগম নুরুল আমিন কন্এরকটারের বাড়ীতে ছুটে আসলে তারা আছিয়া বেগমকে মারধর করে তার ও একটি হাত ভেঙ্গে দেয়ে।
এদিকে নুরুল আমিন ও তার ছেলেদের এমন অমাানবিক নির্যাতন দেখে এলাকাবাসী পুলিশে সংবাদ দেয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি জানতে পারে চতুর নুরুল আমিন মা ছেলে কে রাস্তায় পাশ্বে ফেলে দেয়। পুলিশ রাস্তার পাশ থেকে আছিয়া বেগম ও মনির হোসেনকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে।
তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে এ ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নুরুল আমিন নানা ভাবে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে এবং হারুনকে থানায় মামলা না দেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকী ধমকী দেয়। অবশেষে হারুনের স্ত্রী আছিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ১৭ এপ্রিল মুক্তাপুর গ্রামের নুরুল আমিন কন্ট্রাকটারের ছেলে কামাল হোসেন (২৬), মাসুক আহমদ (৩০), মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে নুরুল আমিন কন্টেকট্রার(৫৫), মুক্তাপুর গড়ের পার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আলমগীর (২৮), দরবস্ত গ্রামের উসমান আলী (ক্রাশার মিল চালক) (২৮) সহ ২/৩জন অজ্ঞাত করে জৈন্তাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগটি মামলা হিসাবে অন্তভূক্ত করে। মামলা নং-১১, তারিখঃ ১৮-০৪-২০১৫।
অপরদিকে মামলা দায়ের পর অর্থশালীরা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে সওজের কর্মচারী লেবার হারুনের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকী ধমকী দিতেছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায় নুরুল আমিন কন্ট্রাকটার তার ছেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সাথে এরকম ঘটনা অহরত ঘটিয়েছে।
দালালদের মাধ্যমে সে ধামা চাপা দিয়ে আসলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। আমরা চাই নিরীহ লোকটি ন্যায্য বিচার পায়।
এ ব্যপারে অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক (০১৭১৩৩৭৪৩৭৭) জানান- নুরুল আমিন গংরা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা সত্যিই দুঃখ জনক। আমি অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত পূর্বক এজাহারটি মামলা হিসাবে গ্রহন করি।
এদিকে চতুর নুরুল আমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহন করায় তাদেরকে আটক করা যায়নি। তবে হুমকীর বিষয় বিবাদী আমাকে জানালে তার জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করব।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (০১৭১৩৮০৯৯০৯) এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান- ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি সমাধানের জন্য চেষ্ঠা করি কিন্ত বাদী বিষয়টি না মানায় তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এব্যাপারে নুরুল আমিনের ছেলে মাসুক আহমদ (০১৬৮১৩০২৭২২)এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার প্রতিবেদককে জানান আমরা আদলতের মাধ্যমে জামিন নিয়েছি। অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি ফোন রেখে দেন।