জৈন্তাপুরে ব্র্যাক এস.এম.ই ব্যাংকের প্রতারনা

    0
    354

    ঋণ পরিশোধের পর জামিনদারের কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের নোটিশ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৮সেপ্টেম্বর, মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির :সিলেটের জৈন্তাপুরে ব্র্যাক এস.এম.ই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও ঋণ গ্রহীতার জামানতদারের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা পরিশোধ করার নোটিশ জারী। পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন। অবাক জামিনদারা দায়ী করলেন স্থানীয় ব্যবস্থাপককে।

    আলাপকালে- যানা যায় সুগন্ধা বীজ ঘর এর পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে আলাপ করে যানা যায় বিগত ১লা অক্টোবর ২০১৩ই্ং সনে ব্র্যাক ব্যাংকের জৈন্তাপুর এস.এম.ই শাখা হতে ৬লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ পরিশোধের ৬ মাস আগেই গত ১৬ জুলাই এককালীন ব্যাংকের পাওনা টাকা ২লক্ষ ৪৫হাজার টাকা জৈন্তাপুর এস.এম.ই অফিসের মাধ্যমে পরিশোধ করেন গ্রাহক। কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপক তাহা এককালীন জমা না করে ২কিস্তির মাধ্যমে জমাদেন। অপর দিকে গ্রাহকের কিস্তি পরিশোধ হচ্ছে না মর্মে ঋণ হিসাব নং-৬৩০৩৬০০৬১৫৯৫৮০০৫ এর জামানতদার মোঃ আবুল হোসেন মোঃ হানিফ এবং মির্সেস মনোয়ারা বেগম এর কাছে গতকাল ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান এভিনিউ শাখা হতে জামানত দারের কাছে পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা চুড়ান্ত তাগদা পত্র কল আপ নোটিশ আসে। নোটিশ পাওয়ার পর জামিনদার গন হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা তারা সুগন্ধা বীজ ঘরের সাথে আলাপকরে জানেন গত ১৬ জুলাই ব্যাংকোর ঋানের পাওনা টাকা পরিশোধ হয়েছে। কিন্তু কি কারনে এরকম হল তা তিনি বলতে পারেন না। তার দাবী ব্যাংকের জৈন্তাপুর ইউনিটের ব্যবস্থাপক মোঃ জুয়েল রানা অর্থ আত্মসাথের করার লক্ষ্যে এবং গ্রাহক হয়রানী করতে আমার ঋনের টাকা পরিশোধিত না দেখিয়ে ব্যাংকোর হেড অফিসকে অবহিত না করে আমাকে ডিফল্ডার ঋণ খেলাপী দেখাতে এই জঘন্য কাজ করেছেন বলে প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় জুয়েল রানা ব্যবস্থাপক হিসাবে যোগ দানের পর হতে ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করতে এলাকার ভাল ভাল গ্রাহকদের কাছে হতে কিস্তির টাকা নিয়ে পরিশোধ না নিজের কাছে রেখে দেন। এছাড়া নতুন গ্রাহকরা ঋণের জন্য প্রস্তাব করলে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবী করেন। দাবী পূরনে ব্যর্থ হলে গ্রাহককে হয়রানী করেন। এছাড়া ঋণ গ্রহিতাদের ডিফোল্ডার হিসাবে হেড অফিসে তথ্য প্রেরণ করেন। এঘটনার পর বেরিয়ে আসতে শুরু হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের জৈন্তাপুর এস.এম.ই শাখার ব্যবস্থাপকের না জানা অনেক তথ্য।

    এবিষয়ে জামিনদার আবুল হোসেন মোঃ হানিফ ও মিসেস মনোয়ারা বেগম জানান- তাদের গ্রাহক এই ব্যাংকে এ নিয়ে ৫বার ঋণ গ্রহণ করেছে। যথা সময়ের আগে তা পরিশোধ করেছে। কখনো সে খেলাপি হয়নি। বর্তমানে ভূয়া ভিত্তিহীন ভাবে আমাদের নামে ঋণ পরিশোধ করার জন্য যে নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে তা নিয়ে আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহন করব।

    এবিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ঢাকাস্থ হেড অফিসের ল্যান্ড ফোন (০২-৮৮০১৩০১)আলাপ কালে তারা জানায়- হেড অফিসের কোন ক্রটি নেই। স্থানীয় এস.এম.ই শাখায় প্রেরিত তথ্যানুযায়ী আমরা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ডিফোল্ডার গ্রাহকের জামানত দারের কাছে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বিস্থারিত জানতে পত্র নিয়ে স্থানীয় শাখা ব্যবস্থপকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শদেন।

    এবিষয়ে স্থানীয় ব্যবস্থাপক মোঃ জুয়েল রানা’র সাথে আলাপ করার জন্য সকাল ১১টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একাধিক বার ব্যাংকের শাখায় গেলে অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে মোবাইল ফোনে (০১৭৪৮৯৩৯২৭৭) একাধিক বার চেষ্টা করার পর তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন- একি কি কারনে হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না। তবে গ্রাহকের টাকা পরিশোধের কথা স্বীকার করেন। অন্য প্রশ্নের জবাব তিনি কিছু না বলে ফোন কেটে দেন।