জৈন্তাপুরে নির্বাহী অফিসার অপসারনের দাবীতে অবরোধ

    2
    375

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তৃক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাঁশ কল বসিয়ে খাঁস কালেকশনের নামে অবৈধ ভাবে চাঁদা উত্তোলন বন্দের দাবীতে জৈন্তাপুরে ট্রাক অবরোধ চলছে। এসময় এসময় উপজেলা নির্বাহীকে অবরোধ করে রাখে ট্রাক শ্রমিকরা। পরে পুলিশ সহায়তায় উদ্ধার হন উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া।

    জানাযায়- বিগত বৎসরের নভেম্বর মাস হতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ খালেদুর রহমান খাঁস কালেকশনের নামে নিজস্ব বাহীনি নিয়োগ করে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর চাংঙ্গীল নামক এললাকায় অবৈধ ভাবে বাঁশকল বসিয়ে আমদানীকৃত এলসি পাথর সহ অন্যান্য পাথর থেকে ১টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন।

    যার প্রেরিপ্রেক্ষিতে ট্রাক শ্রমিক, ট্রাক মালিক ও পাথর ব্যবসায়ীরা বাঁশ কল অপসারনের দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন উপর মহলের যোগ সাজেসে আদামানীকৃত সহ সকল প্রকার পাথর থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে।

    গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নির্দেশে জৈন্তাপুর আঞ্চলিক ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি নুরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ২শতাধিক ট্রাক চালক শ্রমিক একযোগে অবৈধ বাঁশকলটি ভেঙ্গে ফেলে। সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত ট্রাক শ্রমিকরা তাকে অবরোদ্ধ করে ফেলে।

    এ সংবাদে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক ও সিনিয়র এস.আই মোঃ আব্দুল মোতালেব অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে নির্বাহী অফিসার সহ রয়েল্টি আদায়কারী কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এদিকে ট্রাক অবরোধ সংবাদ পেয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানী কারক গ্র“পের সভাপতি গোলাম নবী ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, জাফলং মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল বখত, জৈন্তাপুর ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবন্দ, জাফলং ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সহিত একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

    এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন- অবরোধের সংবাদ পেয়ে আমরা নির্বাহী অফিসারকে অবরোধকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের যুক্তি সম্পন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলনে থাকায় আমরা বাঁধা দিতে পারিনি।

    এদিকে আন্দোলনকারী অনেকর সাথে আলাপকালে তারা জানান- বাঁশকল ঘরটি যতক্ষন পর্যন্ত প্রশাসন সরিয়ে না নিবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত সিলেট তামাবিল-মহাসড়কের বাঁশ কল অপসারনের জন্য ট্রাক অবরোধ চলছে।