জৈন্তাপুরে নির্বাহীর বাঁশকল নিয়ে যত প্রশ্ন ? দাবী বৈধ-অবৈধ

    1
    231

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬মার্চ,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহীর কর্তৃক বাঁশকল বসিয়ে খাঁস কালেকশনকে কেন্দ্র যে কোন মুহুত্বে ঘটতে পারে সংঘর্ষ। বাঁশ কলটি অবৈধ বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্বাহীর বাঁশকল দখল করেছে মর্মে অভিযোগ মিডিয়াকর্মী ও পুলিশ পাটিয়ে ব্যবস্থা নেননি কারো বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের দাবী বাশঁকলটি অবৈধ, প্রশাসন বলছে বৈধ।

    জানায়ায় গত ২৮ডিসেম্বর ২০১৪ইং হতে পরীক্ষা মূলক এবং ১লা জানুয়ারী হতে আনুষ্ঠানিক ভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের চাঙ্গীলস্থ নির্মানাধীন ফায়ার সার্ভিস অফিসের সম্মুখে খাঁস কালেকশনের নামে বাঁশকল বসিয়ে রাজস্ব আদায় করে আসছে। নির্বাহীর বাঁশকল নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমাদানি কারক সমিতি সহ পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা দাবী করেন- জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তাদের কাছে খাঁস কালেকশনের নামে চাঁদা আদায় করছে।

    তারা আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারকে আমরা অগ্রীম ট্যাক্স পরিশোধ করে ভারত হইতে পাথর আমদানী করে আসছি। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীপুর, রাংপানি, আসামপাড়া নদী হতে খাস কালেকশনের নামে আমাদের আমদানীকৃত পাথর হইতে সম্পূন্ন অবৈধ ভাবে রাজস্ব আদায় করেছে। আমাদের আমদানীকৃত পাথর হতে রাজস্ব আদায়ের বিধান নাই। আমরা বিগত বৎসরের ডিসেম্বর মাসে অবৈধ বাঁশকলটি অপসারনের জন্য তামাবিল স্থলবন্দরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরেও প্রশাসন আমাদের আমাদানিকৃত পাথর থেকে ট্যাক্স আদায় করছে।

    ৭মার্চ বিকাল অনুমান ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ও জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সহ জৈন্তাপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান- উপজেলা প্রশাসনের খাঁস কালেকশনের বাঁশটি কয়েকজন বখাটেরা দখল করার নিয়েছে। নির্বাহীর আদেশ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই আব্দুল মোতালেব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে বখাটেরা চলে গেলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সচেতন মহল সহ ব্যবসায়ী মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অবৈধ ভাবে বাঁশকল স্থাপনের ফলে বখাটেরা হামলা চালালেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে প্রতিদিন লক্ষ টাকার উপরে রয়েল্টি আদায় হলেও নাম মাত্র একটি টাকা সরকারী রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে।

    এবিষয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী ভূইয়া (০১৭১৬-০২১৭৩৪), যুগ্ম-সম্পাদক ইালয়াছ উদ্দিন লিপু (০১৭১২-১৬৬৮৬১), জাফলং মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত (০১৯১৯-১৭২৯৬৯) বলেন- খাঁস কলেকশন পয়েন্টে না করে সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জাফলং মোহাম্মদপুরে ও জৈন্তাপুর চাঙ্গীল এলাকায় বাঁশকল বসিয়ে ট্যাক্স পরিশোধিত আমদানিকৃত পাথর থেকে পুনরায় লক্ষ লক্ষ টাকা ট্যাক্স আদায়ের ফলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ছি। অভিলম্বে বাঁশটি অপসারন না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ডাক দেওয়া হবে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম (০১৭১২-০৩৬৬৮১) বলেন- আমার সহকর্মী সাব্বির ও শ্যামল এখানে দায়িত্ব পালন করছে বলেন জানান। এবিষয়ে সাব্বির (০১৭১৫-২০৭৪০৮) ও শ্যামল (০১৭১২-৯১১১৭৬) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক কত টাকা আদায় হয়ে থাকে বিষয়ে তারা কিছু বলতে নারাজ। তারা বলেন আমরা স্যারের অধিনে চাকুরী করি এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলতে পারব না।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদুর রহমান (০১৭৩০-৩৩১০৩৭) মোবাইল ফোনে জানান- আমরা বিধি মোতাবেক খাঁস কলেকশন করছি। ব্যবসায়িদের অভিযোগ ভিত্তিহিন আমরা শ্রীপুর, রাংপানি, আসামপাড়া নদীর পাথর হতে ট্যাক্স আদায় করছি। দৈনিক কত টাকা আদায় হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন গড় হিসাবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।

    আদায়কৃত রাজস্ব সঠিক ভাবে জমা হচ্ছেনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- আদায়কৃত রাজস্বের ১০% শ্রমিক মজুরী বাদে বাকী টাকা রাজস্ব কোষাগারে জমা পড়ছে। বাঁশকল দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন- কিছু বখাটেরা দখলের চেষ্টা চালায় আমি পুলিশ পাটালে তারা চলে যাওয়াতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করিনি।