জৈন্তাপুরে দাদন ব্যবসায়ীর জ্বালায় ৫সন্তানের জনকের আত্মহত্যা!

    0
    270

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭আগস্ট,জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুর উপজেলার পল্লী দাদন ব্যবসায়ীর সুধের বোঝা সইতে না পেরে পেরে ৫সন্তানের জনকের আত্মহত্যা।
    ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়- জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্রিখেল(পশ্চিম) গ্রামের মুবেশ্বর আলীর ছেলে ৫সন্তানের জনক মঞ্জুর আহমদ(৪০) ব্যবসা করতে গিয়ে নিজের পুজি হারিয়ে পূণরায় ব্যবসা পরিচালনা করতে তাহার একমাত্র বসত ভিটে বিক্রি করে ঘুরে দাড়াবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। অবশেষে শেষ চেষ্টা হিসাবে নিজের সব কিছু হারিয়ে দারস্তহন দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট। মাসিক চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ঋন নিয়ে পুনরায় ব্যবসায় নামেন। কিন্তু প্রতি মাসে দাদন ব্যবসায়ীদের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। এনিয়ে দাদন ব্যবসায়ীর সাথে দেখাদেয় বিরোধ। মঞ্জুর ০৫ আগষ্ট শনিবার দরবস্ত বাজারের দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে এসে সর্বশান্ত হওয়ার কথা জানায় তারপরও সুদের টাকা ছাড় করেনি দাদন ব্যাবসায়ী। দরবস্ত থেকে চতুল বাজার হয়ে রাত ১২ঘটিকার সময় নিজ বাড়িতে ফিরে যায়, পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে নিজবাড়ীর নিকট রাজবাড়ীর টিলায় গাছের সাথে রশি ঝুলিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করে মঞ্জুর।
    এব্যাপারে চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল জানান- ৬ আগষ্ট রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনার সংবাদ শুনতে পান। থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি আরও বলেন মঞ্জুর ঋণগ্রস্ত হয়ে তার বসত বাড়ী বিক্রি করে অনেক আগে। তিনি লোক মুখে জানতে পেরেছেন মঞ্জুর দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ঋণ নিয়েছে, তাদের পাওনা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মড়েল থানার অফিসার ইনর্চাজ খান মোঃ মায়নুল জাকির বলেন- চেয়ারম্যানর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দুপুর ১টায় এস.আই নবী হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে থাকা মঞ্জুরের নিতর দেহটি নিচে নামিয়ে সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রেরন করা হয়। এঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।