জৈন্তাপুরে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  

    0
    216

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃজৈন্তাপুরে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও সিলেটে অঞ্চলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) এর উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিকদাতা সংস্থা হেইভারডেন এর সহযোগিতায় পরিচালিত প্রকল্পের অধীনে আজ সকাল ১০টায় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি এবং শ্রীপুর চা-বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

    শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে একডো’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী নোংপকলৈ সিনহা পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দাতা সংস্থা হেইভারডেন এর নির্বাহী পরিচালক মিস. ক্রিস্টিনা মিথবো, দাতা সংস্থার উপদেষ্টা আইভার মুন্থে, শিক্ষকা অঞ্জনা পাত্র ও শিক্ষিকা সবিতা সিং, সীমান্ত মিডিয়া লাইন এন্ড একাডেমীর আঞ্চলিক পরিচালক মো: রেজওয়ান করিম সাব্বির, আধিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান বীরু খাসিয়া সহ অভিভাবক এবং মোকামপুঞ্জি ও শ্রীপুর চা-বাগানের স্থানীয় গণ্যমান্যরা শিক্ষা উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিস. ক্রিস্টিনা বলেন- আমরা চাই বিশ্বের সকল শিশুরা বৈষম্য দূর করে সমান ভাবে লেখাপড়ার সমান সুযোগ পায়। তারই ধারাবহিকতায় হেই ভারডেন বাংলাদেশের খাসি, পাত্র ও চা-শ্রমিক শিক্ষার্থীদের কাজ করে যাচ্ছে।

    একডো’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ সভাপতির বক্তব্যে অভিভাকদের উদ্দেশ্যে বলেন- প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত নিজ নিজ শিশুরা যাতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায় তা নিশ্চিত করা। তাছাড়া শিক্ষা উপকরণ গুলো যাতে শিশুরা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্যও তিনি অভিভাবকদের পরামর্শদেন। একডো প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খাসি, পাত্র ও চা-শ্রমিক শিশু শিক্ষার্থীরা ভাষাগত সমস্যা ও নানা কারণে প্রাথমিক স্তর হতে ঝরে পড়ে। চিহ্নিত এসকল ঝরে পড়া রোধ করার লক্ষ্য নিয়ে সিলেট জেলার সিলেট সদর উপজেলা এবং জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্থানীয় খাসি, পাত্র ও চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর মধ্য হতে শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে ‘এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টার’ নামে একটি কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে খাসি, পাত্র ও চা-শ্রমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টার এর মাধ্যমে ভাষাগত সমস্য দূর হওয়াতে বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফলেও অগ্রগতি হচ্ছে। গতকাল একডো এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলায় মোট একশত খাসি, পাত্র ও চা-শ্রমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ স্কুল ব্যাগ, ছাতা, খাতা, কলম, স্কেল এবং স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করছে।