জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় আগামী ১০ফেব্রুয়ারি

    0
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,২২জানুয়ারীঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে। আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার এ তারিখ ঘোষণা করেন। এসময় আদালতে মামলার প্রধান আসামি এইচএম এরশাদসহ অপর দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন।
    এর আগে এইচএম এরশাদ বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কতে অংশ নিতে আদালতে হাজির হন। আজ বুধবার বেলা ১১টার পর পরই সরকারি প্রটোকল নিয়ে পতাকা লাগানো গাড়িতে চড়ে তিনি আদালতে হাজির হন। এ মামলায় অপর দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তাফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এর আগেই আদালতে উপস্থিত হন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তারের আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়।
    এদিকে আদালতে এরশাদের সাথে গেছেন তার ছোট ভাই এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের। ইতিপূর্বে এ মামলার প্রতিটি হাজিরায় জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এরশাদের সাথে আদালতে হাজির থাকলেও আজ তিনি আসেননি বলে জানা যায়।
    এদিকে গতবছরের ২৪ নভেম্বর আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। কিন্তু তখন যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচিকে লিখিত যুক্তিতর্ক দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে আদালত ২২ জানুয়ারি ফের রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন। গত ২০ নভেম্বর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মামলার প্রধান আসামি এইচএম এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এরশাদ আদালতে হাজির ছিলেন। সেসময় আদালতে হাজির ছিলেন এ মামলার অপর দুই আসামিও। তবে আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
    অন্যদিকে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
    তাছাড়া জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা দায়েরের পর ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহহার আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা দায়েরের ১৮ বছর পর মামলাটি বর্তমান প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ হত্যা মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মামলার প্রধান আসামি এইচএম এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে তিনি লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন।