জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াত-পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের বৈঠক !

    0
    353

    নিয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরোনো বললেন তথ্যমন্ত্রী 

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আদালতে এটা জবানবন্দিতেও বলেছেন। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরোনো। এর সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বৈঠক।

    শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর গোপন বৈঠকের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এর আগে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে এবং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অতীতে ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করে এগোতে পারেনি, তারা নিশ্চয়ই তা অনুধাবন করতে সক্ষম। না হলে আওয়ামী লীগকে মানুষ পরপর রায় দিয়ে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতো না। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসে পৃথিবী যখন স্তব্ধ, মানুষ শঙ্কিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, সেই সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। সেটির প্রকাশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক, যা চরম নিন্দনীয়।’

    মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে তখন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০। এখন বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্র সাড়ে ১২০০। তখন অনলাইন পত্রিকা ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। এখন কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৬ সালে।

    এ ছাড়া ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন প্রাইভেট টেলিভিশন ছিল ১০টি। এখন ৩০টি সম্প্রচারে আছে। ৪৫টি প্রাইভেট টেলিভিশনের জন্য লাইসেন্স দেওয়া আছে। এর বাইরে ৪টি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু আছে। সংবাদমাধ্যমের এই ‘এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ’ সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।

    স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক প্রমুখ।