জুড়ীর সার্বিক উন্নয়নের প্রত্যাশা রাখেন মিঠু

    0
    215

    আমারসিলেট24ডটকম,২৭মার্চ,সুমনঃ “সবার সুখে হাসবো আমি কাঁদবো সবার দুঃখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দেবো অনাহারির মুখে”। এ দুটি চয়নে পল্লী কবি জসীম উদ্দিন যে কথাটি বুঝাতে চেয়েছেন তা ক’জনই পালন করে থাকেন। বেশতে বেশ সিকিভাগ মানুষই পালন করে কি ? নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের উপকার তথা মানব কল্যাণে, মানব সম্পদের উন্নয়নকল্পে কাজ করার মানসিকতার মানুষ সমাজে খুব একটা দেখা যায় না। তবে যেসব লোক মানব কল্যানে এগিয়ে এসে নিজেকে বিসর্জন করেন তারাই সমাজ, অঞ্চল, তথা দেশের মানুষের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে স্থান করে নেন। আর এ মানসিকতায় উদ্বোদ্দ এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি চল্লিশোর্দ্ব এক সংবেদী, উদার মানবতাবাদী ও সাদা মনের মানুষ। যার নাম আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু। দেশ-বিদেশে যাকে এক নামে চিনে। যিনি যৌবনে নিজেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে পেরেছেন। স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করা এ ব্যক্তি ঢাকা শহরে ব্যবসা বানিজ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনীতির মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। কিন্তু সবকিছু ছিন্ন করে নাড়ির টানে দীর্ঘদিন যাবত অত্রাঞ্চলে এসে মানব, সমাজ কল্যাণমূলক বহুকাজে ও রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে নিজেকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে জুড়ী অঞ্চলের দল, মত, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকল পেশার শ্রেণী লোকের অফুরন্ত ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার নিমোগ্নতা অত্রাঞ্চলের সকল শ্রেণীর মানুষকে আপ্লুত করেছে। নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু ১৯৬৫ সালে মৌলভীবাজার জেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম আপ্তাব উদ্দিন আহমদ মহালদার এবং মাতা আলহজ্ব আমিনা খাতুন। আজ তিনি জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাগরিক ঐক্য মনোনীত, বিএনপি নির্বাচিত (স্মারক নং- বিএনপি/সাধারন/৭৬/১৪ইং) একক প্রার্থী। তিনি জুড়ী উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় আপ্তাব উদ্দিন আমিনা খাতুন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি “সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” এ স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষ করে ছাত্রীরা যাতে বিভিন্ন সমস্যার কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় এ জন্য তাঁর পিতা ও মাতার নামে গোয়ালবাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ওই কলেজটি। বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় নিয়মিত বৃত্তি, অনুদান সহ প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। নিয়মিত গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য তাঁর নাম ঢাকাসহ সর্বত্র আলোচিত। এছাড়াও অবহেলিত চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য অহিদাবাদ চা বাগান প্রতিষ্ঠা করে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে উপজেলার সর্বত্র মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কুশল বিনিময়, গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে দোয়া প্রার্থনা করে ভোট কামনা করছেন। সরেজমিন- একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, আমি সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে তৃণমূল, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনুমোদনক্রমে জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হই। আমার প্রতীক দোয়াত কলম। আমি নির্বাচিত হলে অবহেলিত জুড়ী উপজেলাকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রুপান্তরিত করে মানব সম্পদের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন শিশুদের মানোন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সর্বস্তরের শিক্ষার উন্নয়নের প্রতি নজর দিয়ে জুড়ীকে একটি আধুনিক উপজেলা ও পৌরসভায় রূপান্তরিত করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।