জুড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলনে

    0
    217
    হাবিবুর রহমান খান,জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে লেয়ার মুরগীর খামারে হামলার ঘটনায় জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক নিজেকে সম্পূর্ন নির্দোষ এবং তাঁর নির্বাচনী প্রতিপক্ষ পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে বলে দাবি করেন।
    আজ (৪মে সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি কথা সত্য যে, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। বাকী সব মিথ্যা।
    তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকালে উপজেলা পরিষদে দুইটি ধান কাটার মেশিন (কম্বাইন হার্ভেস্টার) বিতরণ করা হয়। এদিন বিকেলে স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে মেশিনটি দেখতে যেতে বলেন। তারাবীর পর সাইদুল ইসলাম আমাকে নিয়ে যায়। দীনবন্ধু সেনের খামারে মেশিনটি রাখা ছিল। সেখানে গিয়ে মেশিনটি দেখার সময় উপস্থিত লোকজন খামারের বিষয়ে অভিযোগ করেন। আমি নিজেও খামারের দুর্গন্ধে সেখানে ঠিকতে পারিনি। ওদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করে কে বা কাহারা একটি ঢিল মারে। এতে বদরুল নামক স্থানীয় এক লোক আহত হলে উপস্থিত ৫০/৬০ জন লোক খামারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। খামারের পশ্চিম দিকেও কিছু লোক ভাঙচুর করে। সবাই খালি হাতে ছিল। আমি ওদের নিবৃত করি। সেই সাথে পুলিশ ও অ্যাম্বুুলেন্সকে ফোন দেই। পরে সেখানে থাকা ধান কাটা মেশিনের কিছু যন্ত্রাংশ ও খামারের ১টি জেনারেটর স্থানীয় মইন উদ্দিনের জিম্মায় রেখে সাইদুুলের বাড়ীতে চা খেতে যাই। সেখানে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে বাড়ীতে ঢিল মারে। এসময় আনফর মেম্বার,, তার দুই পুত্র ও স্থানীয় বাসিন্দা জামাল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে শুনলাম শাহাজান নামে একজন আহত হয়েছে।
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশে বৈধ বা অবৈধ কোন অস্ত্রই তার নেই। ইলেক্ট্রনিক স্মোকারকে (ভেপার) কেহ আগ্নেয়াস্ত্র ভাবতে পারেন।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যানের সহকর্মী আফজাল হোসেন চিকন বলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় মনি ৪ কিলোমিটার দুরে থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস নিকটতম বাসিন্দা হয়েও ঘটনাস্থলে যাননি। উনারা উপস্থিত হলে এরকম পরিস্থিত হতোনা।