জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ২০ এপ্রিল জাতীয় সম্মেলন

    0
    400

    ঢাকা: তরুণ প্রজন্মের পথ ধরে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে এবার সোচ্চার হয়েছে ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ অন্যান্য দাবির সমর্থনে ২০ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এসব দাবি আদায়ে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতেও সম্মেলন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট্রি সারওয়ার আলী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সুলতানা কামাল, প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের জিয়াউদ্দিন তারিক আলী এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. এ আরাফাত প্রমুখ ।

    সংগঠনের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করা, সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রতিহত করা ও আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া, মুক্তচিন্তার পথ খোলা রাখা, তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা প্রতিহত করা এবং নারীর অধিকার সমুন্নত রাখা।

    সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধের রায় কেন্দ্র করে গত কয়েক মাসে জামাত-শিবিরের সারা দেশে মন্দির, শহীদ মিনার ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা ছেঁড়ার মতো নাশকতামূলক ঘটনা ঘটানোর প্রতিবাদ জানানো হয়। জাতীয় এই সম্মেলনে দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান সারওয়ার আলী।

    সুলতানা কামাল বলেন, জামাত-শিবির একাত্তরে সবার সামনে সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। তাই জামায়াত-শিবিরকে সাংগঠনিকভাবে দায়ী করে তাদের বিচার করতে হবে।

    আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বলেন, পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জামাত-শিবির পুনর্বাসিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, যে বাংলাদেশের তারা বিরোধিতা করেছে, সেই বাংলাদেশের পতাকা তারা গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। আবার সেই বাংলাদেশের প্রতীক জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে, স্বাধীনতার প্রতীক শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার দুঃসাহস দেখিয়েছে। জামায়াতের বিশ্বাসঘাতকতা ক্ষমার অযোগ্য।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জামাত-শিবিরের তাণ্ডবের সাধারণ লক্ষ্যবস্তু বিশেষত সংখ্যালঘু ও নারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এ দুই শ্রেণীর ওপর তাদের হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    কামাল লোহানী বলেন, জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক হামলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুরা তটস্থ। সাধারণ মানুষের শক্তি এক হলে এসব অপশক্তির বিনাশ হবে। এ জন্যই এজাতীয় সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।