জামাত-বিএনপি’র প্রতিবিপ্লবী ষড়যন্ত্র রুখেতে শপথ

    0
    256

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১৬নভেম্বরঃ শিক্ষা ধ্বংসের রাজনীতি প্রতিহত, জামাত-বিএনপি’র নৈরাজ্য বন্ধ, জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের রায় অবিলম্বে কার্যকরের দাবিতে আজ ১৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় পতাকা মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ ও শপথ গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিলটি মৎসভবন, শাহবাগ, টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়। যুব মৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতনের সভাপতিত্বে ও ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমতের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্র মৈত্রী ও যুব মৈত্রীর প্রাক্তন সভাপতি ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট পরিকল্পিতভাবে জামাত-বিএনপি তৈরি করেছে, ১৮ দলীয় জোট দেশের অগ্রগতি চায় না। তারা দেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। এই জঙ্গিবাদী শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে তরুণদের নেতৃত্ব দেয়া। বিএনপি-জামাতের প্রতিবিপ্লবী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শপথ নিতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে তরুন সমাজকে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে জয়ী হতে হবে। যুব মৈত্রী সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ আলী খান কলিন্স বলেন, যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাত-বিএনপি অপরাজনীতি রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, সাম্প্রদায়িক অপগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ যুুদ্ধে প্রয়োজনে আমাদের জামিল, রিমু, রাসেল হতে হবে। জীবন দিয়ে হলেও এই যুদ্ধে বিজয় ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র  ডা. এমরান এইচ সরকার বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্তরালে জামাত-শিবির জঙ্গিগোষ্ঠী নীলনক্সা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে ওরা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়। জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করাই একমাত্র সমাধান এবং অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শহীদ মিনারে শপথ বাক্য পাঠ করান নুর আহমদ বকুল। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুব মৈত্রীর সহসভাপতি এ্যাড. সালাহউদ্দিন মিন্টু, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ মিনার, ছাত্র মৈত্রীর সহসাধারণ সম্পাদক মাহাবুদ রানা তরুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আল-আমিন মাহাদী, ঢাকা মহানগরের সভাপতি অর্ণব দেবনাথ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন যুব মৈত্রীর সহসভাপতি শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, মুর্শিদা আক্তার ডেইজী, সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরূল হাসান নাসিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুল আলম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানী, ছাত্র মৈত্রীর সহসভাপতি শামীমা সুলতানা শাওন, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল হামিদ, সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক অরূপ সরকার প্রিন্স, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাওন প্রমুখ।