জামাতী নেতার হুমকিঃপুলিশের ট্রাকে বোমায় নিহত-১

    0
    249

    আমারসিলেট24ডটকম,২৭ডিসেম্বরঃ  রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা সমাবেশ থেকে হুমকি দেয়ার আধঘণ্টার মাথায় ১৮ দলের মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে হাতবোমা হামলা হয় যাতে আহত হয়েছেন ৯ কনস্টেবল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৮ দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ শেষে রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলার এই ঘটনা ঘটে।
    বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, ওই হামলার আগে নগরীর ভুবন মোহন পার্কে এক সমাবেশে মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পুলিশকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেন। জামায়াতের এই নেতা বলেন, “গণতন্ত্র অভিযাত্রায় বাধা দেয়া হলে পুলিশকে প্রতিহত করা হবে।‘’ শক্তি থাকলে পোশাক খুলে পুলিশকে তাদের সামনে দাঁড়ানোর কথাও বলেন মাইনুল। তিনি হুমকি দেন, ১৮ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলে ‘মোড়ে মোড়ে গণবিস্ফোরণ’ ঘটবে।
    বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ১৮ দলের স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য দেন একই সমাবেশে।
    মিছিল ও সমাবেশ থেকে নাশকতা চালানো হতে পারে- এমন আশঙ্কায় সমাবেশ শুরুর আগে রাজশাহী কলেজের সামনে, রাজাহাতা মোড়, ঘোষপাড়া মোড় ও সোনাদিঘী মনি চত্বর থেকে সন্দেহভাজন ২৯ কর্মীকে আটক করা হয়। ভুবন মোহন পার্কে সমাবেশের পর ১৮ দলের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যাওয়ার সময়ই পুলিশের টহল ট্রাকে বোমা হামলা হয়।
    ১৮ দলের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের টহল ট্রাকে বোমা মেরে পালিয়ে যায়। বোমাটি ট্রাকের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে ৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল সিদ্ধার্থকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে সিদ্ধার্থ মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের কাওনিয়ায়। ৫ বছর আগে তিনি পুলিশে যোগ দেন। এছাড়া কনস্টেবল আনন্দ, তহিদ, শাহরিয়ার, মজিদ, রায়হান, রাফি, সোহেল ও আসাদকে ভর্তি করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এর আগেও বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের সময় রাজশাহীতে পুলিশের ওপর কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
    গত ৩১ মার্চ নগরীর রানীনগর এলাকায় বোমা হামলায় এক এসআইয়ের দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়। পরদিন শালবাগান এলাকায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এক এসআইয়ের মাথা থেঁতলে দেয়।এছাড়া গত ২ ডিসেম্বর কোর্ট স্টেশন মোড়ে পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়, গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
    ১০ ডিসেম্বর বিনোদপুরে পিটিয়ে এক ওসির পা ভেঙে দেয় বিরোধী ১৮দলের কর্মীরা। ওই ঘটনায় মোট ছয় পুলিশ সদস্য জখম হয়।