জাফলং হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

    0
    241

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৫সেপ্টেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ জাফলংয়ে আসা পর্যটকদের নানা দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অন্ত নেই। শনিবার সিলেটের হযরত শাহজালাল(রা.) ওরস মোবারক শেষে একনজর দেখার জন্য প্রকৃতিকন্যা জাফলং ছুটে আসে পর্যটক দর্শনার্থীরা। আসার সময় রাস্তায় তাদের দুর্ভোগ যন্ত্রনার কোন অন্তছিলনা।

    বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে জাফলং পর্যটন এলাকা অভিমুখে আসার পথে নলজুরী, তামাবিল, মোহাম্মদপুর সহ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে ওরস ফেরত পুন্যার্থী, পর্যটকবাহি শত শত যানবাহন ও পর্যটকরা। দীর্ঘদিন থেকে নানা কারণে সংস্কার বিহীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সৃষ্ট বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই আটকা পড়ছে যানবাহন।

    আটকা পড়া দর্শনার্থীদের ২য় দিন গতকাল ও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত আর পরিবহন কেন্দ্রিক দুর্ভোগ লক্ষনীয় ছিলো পর্যটক দর্শনার্থীদের। এ সড়কের সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সওজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আগত পর্যটক দর্শনার্থীরা। বৃষ্টি, সড়ক সংশ্লিষ্ট পরিবহন ভোগান্তি সত্ত্বেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।

    এদিকে ওরস শেষে জাফলং অভিমুখে ঘুরতে আসা পর্যটক দর্শনার্থীবাহি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, লেগুনা, সিএনজি সহ সব ধরণের যানবাহনে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ব্যাপক চাঁদাবাজির খবর পাওয়া গেছে। আগত পর্যটকবাহি বাস, ট্রাক, মাইক্রো, চালকরা জানান স্থানীয় দামড়ী, গোয়ালী ব্রীজের জৈন্তাপুরের চাংঙ্গিলসহ স্থানে স্থানে বেপরোয়া চাঁদাবাজির শিকার হন তারা।

    তারা আরও জানান- হাইওয়ে পুঁলিশের ইউনিফর্মে লাগানো নেমপ্লেট খুলে বেপরোয়া হারে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করে হাইওয়ে পুলিশ। বেলা ৩টায় জাফলং পিকনিক সেন্টারে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক সরকারী পদস্থ কর্মকর্তার গাড়ি চালক জানান- ভাই কি বলবো কোন বাঁচ বিচার নেই, হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন সর্বস্থরের যাত্রী ও পর্যটকবাহী গাড়ী।

    এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েক দফা ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেনি।

    এ বিষয়ে জৈন্তাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খালেদুর রহমান জানান- সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ওরস ফেরত পুন্যার্থী ও পর্যটকবাহি যানবাহনে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদবাজির খবর পেয়েছি। ইতিপুর্বেও তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় রেজুলেশন নেয়া হয়েছে। রেজুলশেনটি সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে এমনকি জেলা পরিষদের আইন শৃঙ্খলা বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। তার পরেও বিষয়টি বন্ধ হচ্ছে না।