জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে হবিগঞ্জের নবীন চিত্রশিল্পীর চিত্রর্কম

    0
    238

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মে,মতিউর রহমান মুন্নাঃ  ২১তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ২০১৫ তে হবিগঞ্জের নবীন চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্যরে চিত্রর্কম স্থান পেয়েছে। আবহমান বাংলার লোকজসংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উপাদান লোকগীতিকে জল রং দিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়েছেন তুলেছেন নবীন চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য। প্রর্দশনীতে স্থান পেয়েছে সারা বাংলাদেশের ২৬১ জন  শিল্পীর আঁকা বাচাইকৃত ২৭৩টি শিল্পর্কম।

    গত ২৪ মে ২০১৫ রবিবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনী উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, এমপি।

    বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি, বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম আক্তারী মমতাজ। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ২১তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৫ এর পুরস্কার নির্বাচন কমিটির সভাপতি শিল্পী সমরজিত রায় চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন একাডেমীর চারুকলা বিভাগের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

    উল্লেক্ষ্য, আশীষ আচার্য্য হবিগঞ্জ শহরের নোয়াহাটি এলাকার সীমা আচার্য্য ও সুভাস আচার্য্যের পুত্র । সে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও বৃন্দাবন সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে এবং ঢাকা আর্ট কলেজে চারুকলা ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগে ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত আছে। বর্তমানে আশীষ আচার্য্য হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও সুরবিতান ললিতকলা একাডেমী আর্ট এবং চারুকলার শিক্ষক হিসেবে চাকুরীরত আছে।

    তার চিত্রকর্মের বিষয়ে আশীষ বলেন জল রঙের এই চিত্রটিতে আমি রং ও রেখার অসংখ্য আয়তক্ষেত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের বাউলগানে নিমজ্জনের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সেই সাথে লোকগানের শিল্পীদের দোলায়িত ভঙ্গি আর চোখমুখের ভাষা ও পাঠ করার চেষ্ঠা করেছে। চিত্রের নীল রং দ্বারা রোকসমাজ হতে লেকসংগীতের উৎপত্তি এবং একই সাথে অবহেলার কারনে এই সমাজ থেকে লোকগীতি বিলীণ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাম করার চেষ্ঠা করেছি । নবীন চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য আরো মনে করেন যথার্থ শিল্প কখনো করুনার ওপর নির্ভর করে বেচেঁ থাকে না। সে বাচেঁ তার আপন শক্তিতে তার প্রভাবে অন্যরা প্রভাবিত হয়।

    বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশের চারুশিল্পের একটি বৃহত্তম উৎসব। আজ থেকে ৪২ বছর আগে ১৯৭৪ সালে সমকালীন চিত্রকলা প্রর্দশণীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর চারুকলা বিষয়ক র্কমকান্ড শুরু হয়। এই র্কমকন্ডের সূত্রতাস্বরুপ ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে প্রথম জাতীয় চারুকলা প্রর্দশনীর যাত্রা শুরু। চারুশিল্প হলো শিল্পর্কমরে নান্দনিক প্রয়োগ যা একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে শিল্পীর ভাষায় ব্যক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি দুই বছর পর-পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে গত ২৪ মে থেকে ১৩ জুন শুরু হচ্ছে ২১তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী।

    ২৪ মে ২০১৫ থেকে ১৩ জুন ২০১৫ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত্রি ৮.০০টা এবং শুক্রবার বিকেল ৩.০০ টা থেকে রাত্রি ৮.০০ টা পর্যন্ত  প্রর্দশনী দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।