জগন্নাথপুর পৌর ভবনের সামনে সড়কের বেহাল দশাঃজনভোগান্তি চরমে

    0
    334

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুলাই,শাহজাহান মিয়াঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর ভবনের সামনে সড়কের বেহাল দশার কারণে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। পৌর পয়েন্ট থেকে রাণীগঞ্জ রোডের মোবাইল মার্কেট এলাকা পর্যন্ত মাত্র কয়েক’শ ফুট এরিয়া নিয়ে সড়কের করুণ দশার কারণে জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সামান্য একটু কাজের জন্য এতো ভোগান্তি মেনে নিতে পারছেন না জনসাধারণ। এ নিয়ে জনমনে ােভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    জানাগেছে, প্রায় এক বছর আগে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের অধীনে এ সড়কের নির্মাণ করা হয়। ত্র“টিপূর্ণ কাজ থাকায় নির্মাণের কয়েক মাস পর ধীরে ধীরে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই এসব গর্তে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়ে যায়। এ সময় সড়কে যাতায়াতকারী জনসাধারণকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সড়কে জমে থাকা পানির উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর চাকার সাথে ময়লা পানি ছিটকে গিয়ে পথচারীদের জামা-কাপড় নষ্ট করে দেয়। সড়কের মধ্যস্থানে পানি জমে থাকায় জনসাধারণকে সড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়।

    সড়কের দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠা বড়-বড় বাণিজ্যিক মার্কেটসহ শতশত ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে জনগণের চলাচল কমে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এটি জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক।

    জগন্নাথপুর থেকে সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর থেকে সিলেট ও জগন্নাথপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে যোগাযোগ রা করতে হলে এ সড়কের উপর দিয়ে যেতে হয়। এ সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। সড়কের এ স্থানটির নাম পৌর পয়েন্ট। যে কোন দিক দিয়ে যাতায়াত করতে হলে পৌর পয়েন্টের উপর দিয়ে যেতে হয়। প্রতিনিয়ত এ সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতশত যানবাহন চলাচল করছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে হাজার-হাজার জনতা যাতায়াত করে থাকেন। তবুও এ সড়কটির কোন কদর নেই। সংশিষ্ট কর্তৃপরে অবহেলার কারণে সড়কটি ভেঙে পুকুর ও খাদে পরিণত হয়েছে। এরপরও কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। সংশিষ্ট কর্তৃপ দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আর দিনের পর দিন কষ্ট পেতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

    এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গড়ে উঠতে পারে বড় ধরনের গণআন্দোলন। এমন অভিমত ভূক্তভোগী জনসাধারণের।

    গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের ব্যস্ততম পৌর পয়েন্ট এলাকায় সড়কের দুই পাশ উচু ও মধ্যস্থান নিচু। যে কারণে বৃষ্টিপাতের পানি সড়কে জমে থাকে। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও সড়কের পশ্চিমপাশে থাকা ময়লা-আবর্জনা নিস্কাশনের ড্রেইন হচ্ছে পৌরসভার। সড়কের পশ্চিম পাশে থাকা বিভিন্ন দোকানের মালিকগণ তাদের ব্যক্তি সুবিধার জন্য দোকানের সামনে থাকা ড্রেইনের সামনের সড়কের উপর আবার পাকা করে ভরাট করে দিয়েছেন। যে কারণে সড়কের পাশ উচু হয়ে গেছে এবং সড়কে জমে থাকা পানি ড্রেইনে গিয়ে পড়ে না। সড়ক পাকা করে ড্রেইনের পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সড়কের পাশ উচু হওয়ায় এবং ময়লা-আবর্জনায় ড্রেইন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও পথচারীরা ােভ প্রকাশ করে জানান, জগন্নাথপুর পৌরসভার খামখেয়ালি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবহেলার কারণে আমাদেরকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। সামান্য একটু কাজের জন্য এতো ভোগান্তি কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সড়কটির সংস্কার করতে সংশিষ্ট কর্তৃপরে জরুরী পদপে কামনা করছেন এলাকাবাসী। তবে এবার সংস্কার কাজ করার আগে জনস্বার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পৌরসভাকে সমন্বয় হতে হবে। তা না হলে কাজ করে কোন লাভ হবে না। এক দিকে কাজ হবে আর অন্য দিকে ভেঙে যাবে। জগন্নাথপুর পৌরসভার উদ্যোগে ড্রেইনের ময়না-আবর্জনা পরিস্কার করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে সড়কের এ স্থানে উচু করে সংস্কার কাজ করলে আর সমস্যা হবে না বলে জানান, স্থানীয় ভূক্তভোগী জনতা। এ ছাড়া জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের জগন্নাথপুর থেকে রাণীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে মারাত্মকভাবে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে খুবই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।