ছেলেমেয়েদের পর্নোগ্রাফি থেকে দূরে রাখতে হবেঃডেভিড

    0
    251
    আমারসিলেট24ডটকম,২৩নভেম্বরঃ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন “অনলাইন পর্নোপ্রাফির” বিরুদ্ধে। অনলাইন এ পর্নোগ্রাফি বন্ধের বিষয়ে শুরু হওয়া এক ক্যাম্পেইনে তিনি তাঁর এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছেন। তবে “পেজ থ্রি” সেটার কি হবে। তিনি বলেন, অনলাইন  আর কাগুজে সংবাদপত্র তো এক নয়।

    জেনে নেওয়া দরকার যে, “পেজ থ্রি” হলো মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক এর মালিকানাধীন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড “দি সান” এর একটি পাতা যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্ল্যামার মডেলদের পাতাজোড়া রঙিন ‘টপলেস’ ছবি ছাপা হয়। দি সান এই মডেলদের “পেজ থ্রি গার্লস” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকে। বহুল আলোচিত, সমালোচিত ও পাঠকপ্রিয় এই “পেজ থ্রি” ছাপা হয় পত্রিকার তৃতীয় পাতায়।

    প্রসঙ্গক্রমে  কথা বলতে গিয়ে বিবিসি’র রেডিও ফোর এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তর্কের সুরে বলেন, বাবা-মারা তাদের বাচ্চাদের কাছ থেকে একটি সংবাদপত্র সরিয়ে রাখতে পারবেন কিন্তু তাদেরকে কিভাবে নিবৃত্ত করবেন অনলাইন এ পর্নোগ্রাফি থেকে? এ বিষয়ে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সচেতনতার অংশ হিসেবে তিনি বিটি, ভারজিন, স্কাই ও টকটক এর মতো যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোকে আরও যত্নবান হতে বলেন তিনি।

    পেজ থ্রি এবং অনলাইন পর্নোগ্রাফির পার্থক্য অঙ্কন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেজ থ্রি সম্পর্কে আমি বলেছি এবং কি বলেছি সেটা মুখ্য নয়, বিষয় হলো যেকোনো মূল্যে আমাদের ছেলেমেয়েদের পর্নোগ্রাফি থেকে দূরে রাখতে হবে। এ বিষয়ে বাবা-মাদের আমাদের সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বেশ খানিকটা অগ্রগতিও অর্জন করেছি আমরা ।
    ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, আপনি আপনার সন্তানকে সংবাদপত্র, বই, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে দূরে রাখতে সক্ষম, কিন্তু অনলাইন এর বিষয়টা ভিন্ন। বাচ্চারা খুব সহজেই নেটের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে অনলাইনে, ইউটিউব খুলে দেখছে যা খুশি তাই করছে । কখনও ভালো কিছু, কখনওবা “হার্ড কোর লিগ্যাল” পর্নোগ্রাফি। সব শেষে এটাই  বলবো, কাগুজে পর্নোগ্রাফি আর ভিজ্যুয়াল পর্নোগ্রাফির মধ্যে রয়েছে বিস্তার ফারাক। আর তাই আমরা চেষ্টা করছি এটা বন্ধের বিষয়ে। আমাদের বাচ্চারা ইন্টারনেটে ডুবে আছে আর অবশ্যই বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি সবার বিশেষ করে তাদের একটু বেশি ঝোঁক থাকবেই।

    ডেভিড  আরও বলেন,আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি।  তাদের কাছ থেকে বাচ্চাদের পর্নোগ্রাফি দেখার অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছি এবং এটুকু বুঝতে পেরেছি যে, সেটা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয় বাচ্চাদের জন্য।সূত্রঃ ইন্টারনেট