ছেলেধরা গুজব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ৭০শতাংশের বেশি বিএনপি

    0
    228

    -জামায়াতের কর্মী ,জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায়  তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশের বেশি বিএনপি-জামায়াতের কর্মী।

    আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, তখন একটি কুচক্রীমহল প্রচণ্ডভাবে হতাশ। তারা রাজনৈতিকভাবে আমাদের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ও জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানা ধরনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী অপকৌশলের অংশ হিসেবে রটিয়েছে সরকারি অনুমোদন নিয়ে নাকি পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে। তাও একটি-দুটি নয়, এক লাখ শিশু। এমন একটি গুজব রটিয়ে দেয়া হলো এবং সেই সূত্র ধরেই দেশে ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কিছু মানুষ আর কিছু দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    সম্প্রতি গণপিটুনিতে কয়েকটি হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যে দণ্ডনীয় অপরাধ, সে বিষয়েও নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এদিকে, রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত হওয়া পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে বাড্ডার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মুরাদ (২২), সোহেল রানা (৩০), বিল্লাল হোসেন (২৮), আসাদুল ইসলাম (২২) ও রাজু আহমেদ (২৩)।

    পুলিশ জানায়, রেণু হত্যা মামলায় এর আগে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২।

    প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানকে ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু। ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।পার্সটুডে