ছিটমহলবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যাঃআসছে প্রধানমন্ত্রী

    0
    195

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪অক্টোবরঃ  প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ছিটমহলবাসীর মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার ছোঁয়া তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বলে এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে,। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছে দিতে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। যার প্রমাণ বাস্তবতা  আগামীকাল ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
    ছিটমহলের উন্নয়ন ও জীবনমানের উন্নয়ন আধুনিকতার ছোঁয়া খুব দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনমান। যারা গঞ্জনাবঞ্চনার জীবনের মুক্তি পেতে ভারতে যেতে নাম লিখিয়ে ছিল, তাদের অনেকে এখন বাংলাদেশে থেকে যেতে চায়। তাদের বোধোদয় হয়েছে এখন মত পাল্টে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী যেন, তাদের জন্য কিছু করার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেন-এই প্রত্যাশা করছে পাল্টে যাওয়া মানুষ গুলো। তারা যেন, ভারতে না গিয়ে এখানে থাকতে পারে তার ঘোষণা চান।

    অপরদিকে স্যাটেলাইট ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সহায়তায় ১১১টি সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর সাথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি দাসিয়ারছড়া সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল পরির্দশনের আনন্দ উপভোগ করবেন সবাই। সেই সাথে বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠের জনসভা সরাসরি প্রতিটি সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলে প্রচার করা হবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সহায়তায়। তাই ছিটমহল গুলোতে আনন্দের বন্যা বইছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কী ঘোষনা দেয়। এখন সেটাই দেখার বিষয়।
    ১৯৭৪ সালের মুজিব ইন্দিরা চুক্তির আলোকে ৬৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি এ বছরের ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়নের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলে যাচ্ছেন। তাই ছিটের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আবেগও অনেক। মুক্তি স্বাদ দিয়েছে শেখ হাসিনা তাকে কাছে পেয়ে বরণের সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না দাসিয়ারছড়া সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ।
    ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্ময় কমিটি (বিলুপ্ত) বর্তমানে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল উন্নয়ন কমিটির সভাপতি (বাংলাদেশ) মো. মইনুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে বঞ্চনাগঞ্চনার শিকার সাধারন মানুষ গুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ইতিহাসের পাতায় শেখ হাসিনা ছিটমহলের মানুষের স্বাধীনতা দিয়েছে তা স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু, ছিটমহল ও শেখ হাসিনা একই বৃত্তে গাঁথা ফুল।

    ৬৮ বছর ধরে ছিটমহল গুলো ছিল অবহেলিত। এখানে সম্পদ সীমাবদ্ধা রয়েছে। তবুও এগিয়ে চলার মত শক্তি সামর্থ রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি তাদের মুলধারার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিটি সদ্য বিলপ্ত ছিটমহলে জাতীয় পতাকা পত্ পত্ করে উড়ছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি দিয়ে সাঁজিয়ে রাখা হয়েছে ছিটমহল গুলোর জনপদ। ছিটমহলের রাস্তায় রাস্তায় শোভা পাচ্ছে নৌকা প্রতীকের বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন।