ছাতকে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    0
    224

    আমারসিলেট24ডটকম,১৯মার্চঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে লাগামহীন  অনিয়ম  দুর্নীতি ও লুটপাটের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের দপ্তরী-কাম প্রহরী নিয়োগের নামে অবাধে চলছে ঘুষ বাণিজ্য ও বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত ফান্ডে ভ্যাটের নামে প্রকাশ্যে শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের চালান ছাড়াই অগ্রিম তিন হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা যায় , উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার শাহা যোগদান করার পর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য  নিয়ে কয়েক দফায় তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। উপজেলার ১২২টি  সরকারি প্রাথমিক ও ৬১ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মোট ১৮৩টি স্কুলের নামে সরকারি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্ব আসে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য। প্রতি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্ধ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা করে। এই ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধের বিপরীতে ভ্যাটের নামে শিক্ষা অফিসার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের ভ্যাটের চালান ছাড়াই অগ্রীম ৩ হাজার টাকা করে ১৮৩টি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা  অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রথম দফায় ৪১জন, দ্বিতীয় দফায় ৪১ জন, মোট ৮২ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন কাম নৈশ্য প্রহরী পদে লোক নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার  থেকে ৬০ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রতি স্কুল পরিদর্শনের নামে বিভিন্নভাবে তার কার্যকালীন সময়ে হাজার হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুন্দরী শিক্ষিকাদের বিপদে ফেলে নির্যাতন ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারের  নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা ব্যাংক চালান ছাড়াই শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার শাহা তাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে ভ্যাট নামক সিলিফ ফান্ডে ঘুষ গ্রহন করছেন বলে তারা সত্যতা স্বীকার করেন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপ কুমার শাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ব্যাংকের চালান ছাড়া শিক্ষকদের হাত থেকে তিন হাজার টাকা ও বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগে ঘুষ গ্রহনের কথা অবশেষে স্বীকার করলেন।