ছাতকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনিয়মের অভিযোগ

    0
    252

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২আগস্ট: ছাতকে বাংলাদেশ উন্মূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপ-আ লিক কেন্দ্রে চিরাচরিত নিয়মে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতা ও অবাধ ঘুষ গ্রহণের ফলে এপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে। এনিয়ে এলাকায় চরম অসন্তেুাষ ছড়িয়ে পড়েছে।

    জানাযায়, ২০১০সালের ৪মার্চ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ছাতক উপজেলা উপ-আ লিক কেন্দ্র পরিচালক হিসেবে শাহ্ আব্দুল মালেক যোগদানের পর অফিসটি ঘুষ-দূর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারীর আখড়ায় পরিণত হয়ে উঠে। তিনি উন্মূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি ফির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

    জানাগেছে, গত ৫বছর থেকে শাহ আব্দুল মালেক বাউবিতে অধ্যায়নরত এসএসসি-এইচএসসি ও বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় পাশ করানোর নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা নেয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদেরকে বলেন, শুধু পরীক্ষায় অংশ নিলেই হবে, খাতায় কিছু লিখা লাগবে না! এসব চা ল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে ঘুষ দিতে ছাত্রছাত্রীদের পটানোর সময় মোবাইলে বিভিন্ন রেকর্ডকৃত গোপন ফোনালাপে।

    এনিয়ে এসব চা ল্যকর তথ্য নিয়ে সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় চলছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর সাথে ফোনালাপের রেকর্ডে দেখা যায়, আব্দুল মালেক ওই ছাত্রীর কাছ থেকে পরীক্ষায় একটি বিষয়ে পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে ২হাজার টাকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে নির্ধারিত বিষয়ে সে ফেল করায় তিনি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই ছাত্রীকে তিনি বলেন, আমি ভুল করে ফেলেছি আমাকে ক্ষমা করে দিও। এ ব্যাপারে তুমি কাউকে কিছু বলনা। যেভাবে হউক সামনের পরীক্ষায় তোমাকে পাশ করিয়ে আনবোই। তুমি শুধু পরীক্ষায় অংশগ্রহন কর বাকীটা আমি দেখবো।

    আরেক ফোনালাপে জানা যায়, একটি মেয়েকে পরীক্ষায় পাশ না করা পর্যন্ত সে যেন তার বাসায় বসবাস করে এমন কথা তাকে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন। অপর আরো দু.ছাত্রীর ফোনালাপের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, তিনি বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম শুরুর অনেক আগেই ভর্তির জন্য একজন ছাত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৩হাজার ও আরেক ছাত্রীর কাছ থেকে ৪হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

    সংশিষ্ট বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬শিক্ষাবর্ষে বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামে ভর্তির শুরুর বিজ্ঞপ্তি ২০১৫সালের নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কথা থাকলেও পরিচালক মালেক ইতোমধ্যেই বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য একাধিক ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে ব্যাংকে জমা দেয়ার নামে ভর্তি ফি থেকে অতিরিক্ত হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

    এছাড়াও এসএসসি/এইচএসসি প্রোগ্রামে চলতি বছরে ও নির্ধারিত ফি থেকে জনপ্রতি ২/৩হাজার টাকা করে বেশী নিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করেছেন বলে জানাগেছে।
    চলতি ২০১৫সালে বোর্ড কর্তৃক বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সরকারি ফি বাবদ ২হাজার ৯শ ২৫টাকার স্থলে ৮হাজার থেকে ১০হাজার টাকা করে আদায় করছেন। মার্কশিট উত্তোলনের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফি বাবদ ২শ টাকার স্থালে ১হাজার ও বিএ/বিএসএস মার্কশিটের জন্য ৪শ টাকার স্থলে এক থেকে দেড়হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ফিয়ের টাকা রশিদ ছাড়া নেয়া হলে ও বলা হচ্ছে এসব টাকা বোর্ডে বিভিন্ন খাতে দিতে হয়।

    এসব গলাকাটা ফি আদায়ের কবলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের। ফলে হত দরিদ্র গরীব-অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের ফিয়ের টাকার অভাবে লেখাপড়া বিঘিœত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে শাহ আব্দুল মালেক জানান, আমার বিরোদ্ধে উত্তাপিত অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এসব প্রমানিত করতে পারলে আমি চাকুরী ছেড়ে চলে যাবো। কতিপয় লোক ষড়যন্ত্রমূলক এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। ##