ছাতকে আমনের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

    0
    255

    আমারসিলেট24ডটকম,২১নভেম্বর,চানমিয়া,ছাতকঃ ছাতকে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষান-কৃষানিরা ফসল ঘরে তোলার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠে আমন ধানের সবুজ সমারোহের মধ্যে সোনালি ঝলকানি ও বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকদের ব্যস্ততা বাড়িয়ে তুলেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কোন-কোন মাঠে আমন ধান কাটা শুরু হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ফসল কাটার ধুম পড়বে মাঠজুড়ে। মাঠভরা সোনালি কাচা-পাকা ধানের ফসলী ক্ষেত যেন দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে। বাতাসে দোল খাওয়া রোপা আমনের সোনালি ঝলকানি গ্রাম্য কৃষককুলকে মাতোওয়ারা করে তুলেছে। মাঠভরা পাকা সোনালি ফসলের মৌ-মৌ গন্ধে গ্রামাঞ্চলের কৃষান-কৃষানীদের মধ্যে বইছে বাধ ভাঙ্গা উল্লাস। পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষার প্রহর গুনছে কৃষান-কৃষানিরা। চলতি মৌসুমেও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ফসলের মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই’র কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। উপজেলাজুড়ে পুরোদমে এখনো ধান কাটার ধুম না পড়লেও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলার মহোৎসবে মেতে উঠবেন কৃষক-কৃষানিরা। আমন ধানের বাম্পার ফলন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১০হাজার ৫শ’ ২৫হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে উপসী জাতীয় ও ৪হাজার ৪শ’ ২৫হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। গত বছর ৯ হাজার ২শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে রোপ আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছিল। এরমধ্যে উপসী জাতীয় ছিল ৫হাজার ৭শ’ ৬০হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ছিল ৩হাজার ৪শ’ ৮০হেক্টর। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ১হাজার ২শ’ ৮৫হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ হয়েছে। উপসী জাতীয় ধানের মধ্যে বিআর-১০, বিআর-১১, বিআর-২২, বিআর-২৩, পাজম, বিভিন্ন প্রকারের ব্রি-ধান, বিনা-৭ এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে লতিশাইল, গন্ধিশাইল, চেংগরমুড়ি, মালতি, গোয়ারচর, কালিজিরা, ময়নাশাইল, বিরইন, তুলসি মালা ও নাজিরশাইল জাতীয় ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এখনো উপজেলার সর্বত্র ধান কাটা পুরোপুরিভাবে শুরু হয়নি। আর ক’দিনের মধ্যে কৃষক-কৃষানিরা ধান কাটা, মাড়াই ও ধান তোলার মহোৎসবে মেতে উঠবেন। শুরুতেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি, অনুকুল আবহাওয়া, চাহিদা মতো সেচ, সার, বীজ ব্যবহারের কারনে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে আমনের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে লাঠিপোতা ও আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করায় পোকার হাত থেকেও ফসল রক্ষা পেয়েছে। এসব স্থানীয় প্রযুক্তি ক্ষতিকারক পোকা দমনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ১শ’ ১৭টি আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে এর সুফল পাওয়া গেছে।