ছাতকে অপহরনের পর হত্যাঃ২২দিন পর খন্ডিত লাশ উদ্ধার  

    0
    224

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০এপ্রিল,চান মিয়া: ছাতকে ২২দিন পর অপহৃত শিশু ইমনের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রিমান্ডে আনা আসামিদের স্বিকারোক্তিতে  ১৮এপ্রিল শনিবার দুপুরে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় তিনটি গর্ত থেকে তিন খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আহমেদ মুর্শেদ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এদিকে ইমনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শিশু ইমনের মা-বাবা ও স্বজনদের আহাজারিতে এখানের বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। তাদের শান্তনা দেয়ার ভাষা কারো কাছে নেই। ইমনের শোকে ছাতকবাসী শোকাহত। সকলের দাবি স্কুল ছাত্র শিশু ইমনকে যারা অপহনর করে নির্মম ভাবে খুন করেছে, সেই ঘাতক মসজিদের ইমাম, জামায়াত নেতা সুয়েবুর রহমান সুজনসহ জড়িতদের ফাঁসি দিতে হবে।

    শিশু ইমনের মৃতদেহ উদ্ধারসহ হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করতে মুল ঘাতক বাতিরকান্দি গ্রামের শাহ জালাল জামে মসজিদের ইমাম, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনজুলিয়া গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার পুত্র জামায়াত নেতা সুয়েবুর রহমান সুজনসহ তার সহযোগী বাতিরকান্দি গ্রামের আবদুর রহমানের পুত্র রফিকুল ইসলাম এবং একই গ্রামের আবদুস সালামের পুত্র জাহেদকে বুধবার সুনামগঞ্জের চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শ্যাম কান্তি সিনহার আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৮এপ্রিল একই ঘটনায় বাতিরকান্দি গ্রামের নুরুল আমিন ও আবদুল বাহারকে ৩দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    ইমনের লাশ উদ্ধারে পুলিশ সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করলেও ঘাতকদের দেয়া বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারনে লাশ উদ্ধারে বিলম্বিত হয়েছিল। ঘাতক ইমামকে ৮এপ্রিল দক্ষিণ সরমার কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে সুজনকে সাথে নিয়ে পুলিশ অপহৃত ইমনের মৃতদেহ উদ্ধারে ওইদিন বাতিরকান্দি গ্রামের দু’টি খালসহ বিভিন্ন স্থানে তলাশী চালায়। পানির পাম্প বসিয়ে খালের পানি নিষ্কাশন করে দিনভর ব্যাপক তলাশী চালিয়ে ব্যর্থ হলেও ইমনের বসতঘর সংলগ্ন মসজিদের সিড়িঁর পাশের একটি গর্ত থেকে রক্তমাখা লুঙ্গির অংশ, তোয়ালে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিষের বোতল, একটি ছুরি ও সুজনের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন কোম্পানীর ১৯টি সীম উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    এসময় তার সহযোগীরা খাল থেকে ইমনের বস্তাবন্দি লাশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন পুলিশকে জানিয়েছিল। ইমন অপহরন ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইমাম সুজনসহ এ পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল দ্বিতীয় দফা।

    প্রসঙ্গত, গেলো ২৭ মার্চ নোয়ারাই-দোয়ারাবাজার সড়কের বাতিরকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ির সামন থেকে লাফার্জ সুরমা কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (৬) অপহৃত হয়। ওইদিন মোবাইল ফোনে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরনকারিরা।