হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিন্ড এলাকা থেকে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেলসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে জেলা ডিবি পুলিশের এসআই ইকবাল বাহারসহ একদল ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়,যার মুল্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা।
আটককৃতরা হচ্ছে- শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২ নং ভুনবির ইউপি চেয়ারম্যান চেরাগ আলীর পুত্র ফয়সাল আহমেদ (২৮), কালিঘাট রোডের শামীম হোসেনের পুত্র রায়হান হোসেন আপন (২৩), শ্রীমঙ্গল শহরের গুহ রোড এলাকার মোঃ সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ মিনহাজুল ইসলাম (২৪), শান্তিবাগ এলাকার কবির খানের পুত্র জুনায়েদ হোসেন (২৮) ও খলিলপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পুত্র জাহিদ হাসান সাকিব (২৫)। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৭ মে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় গ্রেফতারকৃতরাসহ ৬ জন ৩টি চোরাই মোটর সাইকেল বেচা-কেনা করছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এসআই ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে ডিবি উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালায়।
ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৬ চোরাকারবারী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে উল্লেখিত ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের অপর সহযোগি পালিয়ে গেছে। এ সময় একটি নেভী ব্লু ১৫০ সিসি আরওয়ান-৫ যার মুল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লাল রংয়ের এফজেড-এস ১৫০ সিসি যার মুল্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং একটি কালো রংয়ের ১০০ সিসি টিভিএস যার মুল্য ৮০ হাজার টাকা এ ৩টি মোটর সাইকেল জব্ধ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোটর সাইকেল চোরাকারবারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মোটর সাইকেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে। তাদের হবিগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে কয়েকটি চক্র রয়েছে যারা শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জের চক্র মিলে যৌথভাবে চোরাই মোটর সাইকেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। হবিগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। একই ভাবে মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল থেকে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল হবিগঞ্জের চক্রের মাধ্যমে হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়।
ডিবি পুলিশের অপর একটি সুত্রে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই মোটর সাইকেল বেচা কেনার সাথে জড়িত। হবিগঞ্জের চোরাই মোটর সাইকেলগুলো মৌলভীবাজারে এবং মৌলভীবাজারের চোরাই মোটর সাইকেল গুলো হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। এদের একটি বড় চক্র রয়েছে যারা একে অপরের সাথে সিন্ডিকেট করে এই কারবার করে থাকে,অনেকের নাম পাওয়া গেছে এদের প্রতি প্রশাসনের নজর রয়েছে।