চূড়ান্ত রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীর

    0
    442

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯জুলাইঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    দেশের ইতিহাসে বর্বরতম যুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়েও  তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ বুধবার সকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহালের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

    এই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গত ৭ জুলাই এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার (২৯ জুলাই) রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ১ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।

    গত ১৬ জুন তার মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথমে শুনানি শুরু করে ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং রায় সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করছে আসামিপক্ষ। এরপর উভয়পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সালাউদ্দিন কাদেরের খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আাবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ’ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রের ডকুমেন্টসহ দাখিল করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপক্ষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো আপিল দায়ের করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। সর্বমোট ১৭২ পৃষ্ঠার প্রণীত রায়ে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আর বাকি ১৪টি প্রমাণিত হয়নি।

    প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬ এবং ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৪, ৭ অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৭ এবং ১৮ নম্বর অভিযোগে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত রায়ে শুধু ৭ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।