চুনারুঘাট সেটেলমেন্টে আপত্তি অফিসার ও পেশকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্র্নীতির অভিযোগ

    1
    200

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭মার্চ,চুনারুঘাট সেটেলমেন্ট অফিসের আপত্তি অফিসার ও পেশকারের লাগামহীন আর্থিক দূর্নীতির ফলে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পর্চা, আপত্তি মামলা নিষ্পত্তির জন্য জায়গার মূল্য বুঝে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপজেলার পৌর এলাকার দক্ষিণ বাজার দিদার ম্যানসনের নিচতলায় অবস্থিত সেটেলমেন্ট অফিসের আপত্তি অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন উপজেলার পাকুড়িয়া, গাভীগাঁও, আজিমাবাদ ও পৌরসভার চন্দনা মৌজার দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় উল্লিখিত মৌজাগুলোর জমির আপত্তি নিষ্পত্তিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত আপত্তি অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে রানীগাঁও ইউপি কার্যালয়ে গৃহিত আপত্তি আবেদন নিষ্পত্তি করেন বাসায় বসে।

    জানা যায়, জমির পরিমান, মূল্য ও আপত্তি দাতাদের অবস্থান বুঝে ইচ্ছেমত নির্ধারন করেন ঘুষের পরিমান। এছাড়াও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কবরস্থান ও মসজিদের ভূমি ব্যক্তি মালিকানায় অথবা একজনের ন্যায্য পাওনা অন্যের নামে কার্যকর করার অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগীরা। আপত্তির আবেদনকারী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাজী আকবর হোসেনের পক্ষে মোঃ ফারুক মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে সেটেলমেন্ট অফিস ও কর্মকর্তার বাসায় যাতায়াত করছেন।

    রুদ্রপুর মৌজায় জমির মূল্য বুঝে ফারুক মিয়ার নিকট ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন উক্ত আবদুল্লাহ আল মামুন। ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এখনও নিষ্পত্তির আশায় উক্ত কর্মকর্তার পিছু পিছু ঘুরছেন ফারুক মিয়া সহ আরও অনেকেই। চুনারুঘাট সেটেলমেন্ট অফিসের দূর্নীতির শিকার গ্রামের সাধারন মানুষদের অভিযোগের শেষ নাই। উক্ত অফিস ঘুষ দূর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

    বৈধভাবে আপত্তি শুনানীর দিন ধার্য্য করার পথও বন্ধ করে দিয়েছেন উক্ত অফিসের কর্মকর্তারা। টাকার বিনিময়ে সুবিধামত সময়ে আপত্তির দিন ধার্য্য করা বা করার অভিযোগও পাওয়া যায়।

    শীঘ্রই এই দপ্তরের ঘুষ দূর্নীতি বন্ধ করা না হলে আথিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে উপজেলার নিরীহ ও সাধারন মানুষ। উক্ত সেটেলমেন্ট অফিসারের দূর্নীতি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন উপজেলাবাসী।