চুনারুঘাট বাল্লা স্থল বন্দর কার্যক্রম নানা জঠিলতায় থমকে আছে

    0
    244

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩আগস্ট,শংকর শীলঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থল বন্দরে খোয়াই নদীর উপর ব্রীজ নির্মান অবকাটামো উন্নয়ন, লোকবল সহ নানা জঠিলতার কারনে কার্যক্রম থমকে আছে। অথচ সরকার নজর দিলে বন্দরের প্রতি প্রচুর রাজস্ব আয় করা যেত। বিভিন্ন সময় মন্ত্রী এমপিও সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন বাল্লা স্থল বন্দরকে আধুনিকরনের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয় নি।

    এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা  যায় , প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বর্ষনের ফলে ভারত থেকে পাহাড়ী ঢল নামার কারনে নদীতে পানি বেড়ে যায় ফলে শ্রমিকরা সিমেন্টের বস্তা , ও বিভিন্ন মালামাল মাথায় নিয়ে পারাপার করতে না পারার করানে বর্ষা মৌসুমে আমদানি রপ্তানী বন্ধ থাকে। ব্যবসায়ী, পরিবহন ব্যবসায়ী, শ্রমিকরা বর্ষায় পরেন বিপাকে । অপরদিকে স্থল বন্দরের কোন অবকাঠামো বা শেড না থাকায় ব্যবসায়ীগন লাখ লাখ টাকার সিমেন্ট ও পাথর খোলা আকাশের নীচে রাখতে হয়। রুদ্র বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয় ব্যবসায়ীদের সিমেন্ট ও মূল্যবান পণ্য।

    প্রতি বছরেই এরকম পরিস্থিতিতে পরতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ৪/৫ জন পাসপোর্টদারী যাতায়াত ছাড়া কাস্টমের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী স্থল বন্দরটি আধুনিকায়নের দাবী করে আশ্বাস করে সরকারের প্রতি। ২০০৯ইং সালে সমাজ কল্যান মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ স্থল বন্দরটি আধুনিকায়নের ঘোষনা দেন। কিন্তু তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

    আমদানী রপ্তানী কারক সমিতি ও বাল্লা স্থল বন্দরের সভাপতি বলেন আসামপাড়া বাজার হতে কেদারাকোর্ট পর্যন্ত ২ কি.মি রাস্তা পাকা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করলে বর্ষা মৌসুমে আপাদত কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকত এবং সরকার প্রচুর রাজস্ব পেতেন। বন্দর সুত্রে পাওয়া ১৯৫১ ইং সালে এই স্থল বন্দরটি ৪.৩৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।