চুনারুঘাট পৌর নির্বাচনে লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে 

    0
    495

    এস এম সুলতান খানঃ পৌর নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচন। ৮.০১ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় কাল ১৪ ফেব্রুয়ারী  রবিবার অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ১৪৪০২ জন, পুরুষ ভোটার ৭১১১ ও মহিলা ৭২৯১ জন। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ২০০৫ সালে বিএনজপ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় চুনারুঘাট পৌরসভা। বিগত তিন বছর আগে পৌরসভাটি ১ম শ্রেনীর মর্যাদা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন পৌরসভার প্রশাসক এর দায়িত্ব পান উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।

    প্রথম নির্বাচনে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোৰ আবু তাহেরকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনে তারই আপন চাচাতো ভাই চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিনের জৈষ্ঠ ছেলে নাজিম উদ্দিন সামসু বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। বিগত সর্বশেষ নির্বাচনে ও নাজিম উদ্দিন সামসু আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী সাবেক চুনারুঘাট  উপজেলা  ছাত্রলীগের   সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে পৌর সভাটি শুরু থেকে অদ্যাবধি বিএনপির অনুকূলেই রয়ে গেছে। চুনারুঘাটের বহু দিনের কাঙ্ক্ষিত গোল চত্বর, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ সহ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন বলে দাবী করেছেন বর্তমান মেয়র নাজিম উদ্দিন সামসু।

    এ বছর নাজিম উদ্দিন সামসু, সাইফুল ইসলাম ছাড়া ও মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী  বাছির আহমদ। মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন আমার দল ক্ষমতায় আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের ইচ্ছানুযায়ী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে পারবো। নাজিম উদ্দিন সামসু বলেন স্বাধিনতার পরে আমিই চুনারুঘাট মাছ বাজারে গনশৌচাকার নির্মান করেছি। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আবারও আমাকে নির্বাচিত করুন। সবমিলিয়ে নাজিম উদ্দিন সামসু ধানের শীষ ও সাইফুল ইসলাম রুবেল এর নৌকার মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ভোটারগণ জানিয়েছেন।