চুনারুঘাটে সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ ও দুর্নীতি:ভুক্তভোগী-কর্মচারীদের হাতাহাতি  

    0
    258

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর,ফারুক মিয়া:চুনারুঘাট উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার অজিত বড়–য়া ও অন্যান্য কর্মচারী চেইনম্যান নিজাম উদ্দিন, আপত্তি অফিসার হানিফ আহমেদ এদের বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম দুর্নীতিতে অতিষ্ট এখন পৌরসভা সহ এলাকাবাসীরা। অভিযোগে প্রকাশ, তাদের ঘুষ দুর্নীতির বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। এমন কোন অনিয়ম নেই যা তারা ঘুষের বিনিময়ে করতে পারে না। তারা টাকার বিনিময়ে একজনের জমি অবৈধভাবে অন্যজনের নামে লিখে দেয়া সহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র উত্তোলণ করতে আদায় করছেন দামা চাপা দিয়ে অতিরিক্ত টাকা।

    এক্ষেত্রে তারা আশ্রয় নেন নানা কৌশলের। গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষদের বোকা বানিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। উপজেলা পৌরসভা সহ লোকজনদের কাছ থেকে বিনিময়ে গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গ্রামগঞ্জ থেকে আসা শতশত মানুষ অর্পিত সম্পত্তির মামলা নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু তারিখের পর তারিখ দেয়া হচ্ছে। মামলাগুলো ৯০ দিনের ভিতরে নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও ভুক্তভোগীরা বছর জুড়ে তাদের পিছনে লেগে ঘুরছেন। টাকা পয়সা দিয়েও তাদের কবল থেকে রক্ষা কবে যে পাবে তা নিশ্চিত নেই। আর এ সুযোগে কর্মচারীরা ফাঁদে ফেলে ওই ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন দিক বুঝিয়ে এখন তাদের কাছ থেকে নেয় হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

    এ নিয়ে কর্মচারীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে গ্রাহকদের বিভিন্ন জায়গায় হাটে বাজারে দোকানে বসে ঠিকানা দিয়ে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে প্রায় সময়ই। যা বাজারের চায়ের দোকানে গেলে সরজমিনে দেখা যায়। মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায় করছে। শুধু তা নয় বেশি লোকজন দেখা দিলে তখন বলে বড় স্যারের বাসায় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলে চলে যায়। আর সময় বলে, রাত ৯টার পর থেকে ১২টা পর্যন্ত বাসায় দেখা করতে পারবে। তখন নীরবে লোকজন বাসার সামনে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে থাকে। এর ভিতরে দালাল চক্ররা ২ জনের উপর বেশি লোক বাসার ভিতর ঢুকা যাবে না বলে তারা জানায়। এ কথা বলে ভিতরের দরজা বন্ধ করে দেয় দালাল চক্ররা। সাথে কর্মচারীরা নানান অজুহাতে টালবাহানা করতে দেখা যায়।

    এ নিয়ে মিরাশী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর হাজী আকবর হোসেন তাহার দলিলকৃত জমির কাগজপত্র এখন পর্যন্তও সঠিক মাঠ পর্চা না পাওয়ায় অফিসে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ও তার ২১ শতক জমি দলিলকৃত রেকর্ডমূলে জমি ১০ শতকের মাঠ পর্চা দিলে বাকী জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করে দেয়। তার সাথে আরও অভিযোগকারীরা হলেন, আঃ কাইয়ুম তালুকদার, বাচ্চু মিয়া, আঃ গণি, ফারুক মিয়া সহ অনেকে। এদিকে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তারিখ ঃ ১৩-০৯-২০১৫ইংনি। তার সহকারী একজন মহিলা জানান, স্যার সপ্তাহে তিন দিন অফিস করেন বাকী দুই দিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন।

    এ ব্যাপারে অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উলে¬খ্য যে, চেইনম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার স্যার হানিফ সাহেবের পকেটে সিলেট বিভাগের জেড.এস.ও সুব্রত পাল চৌধুরী ও মহাপরিচালক আঃ জলিল স্যারের পকেটে আছেন। স্যার এজন্য কাউকে পরোয়া করেন না। তাছাড়া হানিফ স্যার যা টাকা পান এর মধ্যে সিলেট জেড.এস.ও কে ৩০% এবং ঢাকা মহাপরিচালককে ২০% দিতে হয়। আমা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।