চুনারুঘাটে সীমানাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর-লুটপাট

    0
    194

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩জুলাইঃ চুনারুঘাট উপজেলার পৌর এলাকার হাতুন্ডা গ্রামের বাসার সীম-সীমানাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর ও অর্থকরী লুট। এ ঘটনায় হাতুন্ডা গ্রামের পিতা মৃত আঃ সহিদের পুত্র মোঃ মাসুদ আহমদ চৌধুরী (৪০) ও তার ভাগিনা সনজব আলী (৩৫) এবং মাসুদ আহমদের বড় বোন ও মৃত আঃ সহিদের স্ত্রী লীল বানু (৫৫), মাসুদ আহমদের স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার আফরোজা সহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের শোর চিৎকারে স্থানীয় বাসা-বাড়ির লোকজন এসে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে মাসুদ আহমদ ও তার ভাগিনাকে মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও বাম হাতের আঙ্গুল কর্তন করে একদল সন্ত্রাসীরা।

    জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে পৌর এলাকার হাতুন্ডা গ্রামের মাসুদ আহমদ চৌধুরীর নিজ বাসার সীম-সীমানাকে কেন্দ্র করে মৃত আঃ কাদিরের তিন পুত্র আঃ সালাম (৩৫), মিজান মিয়া (৩০), আঃ হানিফ (২৫), পিতা মতলিব মিয়ার পুত্র জালাল মিয়া (৫০) সহ একদল দূর্বৃত্তরা বাসায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গৃহকর্তা মাসুদ আহমদকে জিম্মি করে মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও বাম হাতের আঙ্গুল কর্তন করে এবং তার পরিবারের স্ত্রী, বোন ও ভাগিনাসহ সবাইকে এলোপাতারি দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাসায় থাকা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ টাকা, মোবাইল সেট, ম্যাগ লাইট সহ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসীরা। বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় ভাংচুর করে। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে সন্ত্রাসীরা।

    এর মধ্যে মাসুদ আহমদের বোন লীল বানুকে আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত মাসুদ আহমদ জানান, চুনারুঘাট থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। উল্লেখ্য যে, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ১৫ দিন পূর্বে মাসুদ আহমদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। পরে মাসুদ আহমদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে চাঁদাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকে ও দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়াতে এরই জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।

    এ ব্যাপারে চুনারুঘাটের প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আহত মাসুদ আহমদ। ফারুক মিয়া