চুনারুঘাটে সন্ত্রাসীদের দা’য়ের কোপে দাদা ও নাতিন গুরুতর আহত

    0
    220

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র বৃদ্ধ ইয়াদুল হোসেন (৭০) ও তার নাতিন হাসারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আক্তার তুলি (৯) সহ সন্ত্রাসীদের দা’য়ের কোপে গুরুতর আহত হয়েছে।

    জানা যায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে হাসারগাঁও গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তায় তানিয়া আক্তার তুলিকে আটক করে বখাকে কয়েকটি ছেলে। সাথে থাকা দাদা ইয়াদুল হোসেন এসময় বাঁধা দিতে গেলে বখাটেরা উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে তানিয়ার সাথে কথাকাটাকাটি হলে একদল বখাটে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা দা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাতিনকে বেদড়ক পিটিয়ে ও দাদাকে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মূমূর্ষ আশংকাজনক অবস্থায় চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে।

    আহত বৃদ্ধ ইয়াদুল হোসেন জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নে হাসারগাঁও গ্রামের খুর্শেদ আলীর পুত্র বিল্লাল মিয়া (২৫), হেলাল মিয়া (৩০), মৃত ছইব উল্লার পুত্র আরজু মিয়া (৪৫), খুর্শেদ আলী (৫০) সহ একদল বখাটে সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার নাতিন তানিয়া আক্তার তুলি স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তার উত্তর ও পশ্চিমে রাস্তায় তাকে আটক করে। দাদা ইয়াদুল হোসেন তাতে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ক্ষীপ্ত হয়ে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন।

    ঘটনার খবর পেয়ে বর্তমান ইউ/পি সদস্য কাজল মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আহত দাদা ও নাতিনকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তারা এই নাজুক ঘটনাটি দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন। ঘটনার পর থেকে বখাটে সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে পালিয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল মিয়া তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতি, নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে তানিয়া আক্তারের বাবা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।