চুনারুঘাটে শিরিকান্দি গ্রামে মৎস্য ইজারাদারের পুকুর থেকে মাছ চুরিঃজোর পূর্বক ঘর নির্মাণ

    0
    253

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,এপ্রিল,ফারুক মিয়াঃ চুনারুঘাট উপজেলার এক মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য  ইজারাদারের মাছ চুরির ঘটনায় যাহার মূল্য ২ লক্ষাধিলা খাতুন গংদের নিকট থেকে ওই পুকুরটি ৫ বছরের জন্য ৩ ক টাকা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিল ব্যবসায়ী। একদল সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই মৎস্য চাষের পুকুর থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ও ইজারাদারের পুকুর পাড়ে জোর পূর্বক টিন সেড দিয়ে বসত ঘর তৈরী করেছে। গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

    জানা যায়, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের শিরিকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল সহিদের স্ত্রী বিধবা মহিলা  ওই জমি লক্ষ টাকার বিনিময়ে লীজ নেন। উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের রমিজ আলীর ইজারাদার আরজু মিয়া উক্ত পুকুরটি লীজ নেন। নতুন চলতি ১ বছর ধরে মৎস্য চাষ করে আসছিল। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে একদল সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্র“তার জের ধরে পুকুর থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায় ও উত্তেজিত হয়ে জোরপূর্বক পুকুর পাড়ে টিন সেড দিয়ে ঘর তৈরী করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ইজারাদার আরজু মিয়া বাধা দিলে ওৎপেতে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা ইজারাদার আরজু মিয়াকে বেদড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আরজু মিয়া এতে  গুরুতর আহত হন।

    তার শোর চিৎকারে স্থানীয় শিরিকান্দি এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট সদর হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করে। আহত আরজু মিয়া জানান, উপজেলার একই ইউনিয়নের হাসারগাঁও ও শিরিকান্দি গ্রামের বিল্লাল মিয়া (২৫), সুমন মিয়া (২৫), দুলাল মিয়া (৩৪), ইমান আলী (৪৫), বিলাল (৪১), শাহজাহান মিয়া (৩০), নুরুল হক (৪০), এখলাছ মিয়া (৩০), সানু মিয়া (৪৫), আরজু মিয়া (৪৮), তুলাই মিয়া (৫০) সহ একদল সন্ত্রাসীরা ইজারাদারের পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আহত আরজু মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার এসআই আব্দুল্লাহ জাহিদের ও এসআই আশরাফুজ্জামান এবং এসআই আব্দুল মালিকের নেতৃতে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্র“তার জের ধরে জোর পূর্বক পুকুর পাড়ে টিন সেডের বসত ঘর নির্মাণ করেছে। পুলিশের উপস্থিতি ঢের পেয়ে ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে পালিয়েছে। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, জুলমতি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

    এ ব্যাপারে আরজু মিয়া বাদী হয়ে পূর্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে ২/৩টি মামলা দায়ের করেছিলেন ও পুকুরের মালিক বিধবা জমিলা খাতুন বাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও ২টি মামলা আদালতে দায়ের করেন। এ ব্যাপারে আরজু মিয়া আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারীর করার পরও চিরস্থায়ী আদলতের নিষেধাজ্ঞার পরও সন্ত্রাসীরা ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাছ চুরি ও জোর পূর্বক দখল করে টিন সেডের বসত ঘর নির্মাণ করে।

    মামলার আসামীরা আদালত থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী আরজু মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন। এ ব্যাপারে সু-বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।