চুনারুঘাটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

    0
    234

             চুনারুঘাটে ১০ একর ২৬ শতক ফজর দিঘি নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ॥

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৮সেপ্টেম্বর, মোঃ ফারুক মিয়া: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাঁও গ্রামের ফজর দিঘি নিয়ে এলাকাবাসীসহ দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। ফজর দিঘি নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে শিরিকান্দি গ্রামের মোঃ আঃ হক মাষ্টার (৬০) কে জড়িয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ চুনারুঘাট পৌরসভার আমকান্দি গ্রামের দিলবর আলীর পুত্র আঃ রশিদ বাদী হয়ে ৮নং আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বিবরণে তাকে হুকমদায়ী হিসাবে আসামী দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনার দিন ১৭/০৮/২০১৫ ইং তারিখে বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন এবং সেদিন বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষক কর্মরত ছিল ও ২ জন ট্রেনিং এ ছিলেন। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষকের তথ্য নিয়ে চুনারুঘাট আসেন এবং এই ঘটনার সংবাদ তিনি ৩১/০৮/২০১৫ ইং বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় জানতে পারেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অত্র এলাকাবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলার ৮নং আসামী মাষ্টার আঃ হক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি জানান যে, উক্ত জমিতে তার কোন স্বত্ব বা স্বার্থ নেই এবং তার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্ব দিকে ১০ একর ২৬ শতক ফজর দিঘি অবস্থিত। তিনি বর্তমান মামলার বাদী ও বিবাদীগণকে নামে মানুষে চিনেন না। যারা উক্ত ভূমিতে অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করছে তারা স্বগোত্রীয় ও একই বংশের লোক। আঃ হক মাষ্টার এ ব্যাপারে প্রশাসনের প্রতি সুবিচার কামনা করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আমল-২ মারামারির ঘটনায় মিথ্যা মামলার ৮নং আসামী করে আঃ হক মাষ্টারকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত ভূমি মৌজা- হাসারগাঁও, জে.এল নং- ৪৮, দাগ নং- ১০৬৭, পরিমাণ ১০ একর ২৬ শতক পুকুর রকম ভূমি। উক্ত ভূমি স্বত্ব মামলা নং ৮৯/১৯৬০ ইং, স্বত্ব মামলা ১১৪/৬৪ ইং এবং স্বত্ব মামলা নং- ৫২২/৮৫ ইং দেখা যায় উক্ত ভূমি হাসারগাঁও ও শিরিকান্দি গ্রামের জনগণের ব্যবহৃত সম্পত্তি হিসেবে সর্বোচ্চ হাইকোর্ট হইতে স্বীকৃত এবং ৪৬১/২০০৯ ইং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশনামায় ও চুনারুঘাট নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে উক্ত আদালতের আদেশ কার্যকর করার জন্য ০৭/০২/২০১১ ইং চুনারুঘাট থানা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করেন আদালত। এমতাবস্থায় উক্ত ভূমি কে বা কারা মোঃ আঃ রশিদ কে লীজ দিয়েছে তাও এলাকাবাসীরা জানেন না। কিন্তু সাধারণ এলাকাবাসীদের প্রশ্ন- চুনারুঘাট নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ ব্যতিত মাছ মারার অনুমতি আঃ রশিদ কোথায় পেল। আঃ রশিদ উক্ত ভূমি থেকে অবৈধভাবে বড় অংকের লাভের জন্য এলাকাবাসীরা আপত্তি দেওয়ার পরও এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে মাছ মারতে গেলে বাধা দেয় এলাকাবাসীরা। এরই জের ধরে আঃ রশিদ হাসারগাঁও গ্রামের এলাকার নিরীহ মানুষকে বিবাদী করে একটি ৩১৬/২০১৫ নং মিস মামলা দায়ের করেন ও ২৪/০৮/২০১৫ (চুনাঃ) জি.আর ১৮৫/২০১৫ইং ৮ জনকে আসামী করে মাছ চুরির মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ৮নং আসামী করে আঃ হক মাষ্টারকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষের লোক। এ নিয়ে এলাকাবাসীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ফজর দিঘি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।