চুনারুঘাটে যৌতুকের জন্য পাষন্ড স্বামীর নির্যাতন আহত

    0
    245

    চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামের মৃত আঃ রহমানের কন্যা রাশেদা খাতুন (২২) নামে গৃহবধুকে যৌতুকের জন্য পাষন্ড স্বামী সফিক মিয়া (৩০) তার স্ত্রী রাশেদা খাতুনকে বেদড়ক পিটিয়ে সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে তার স্বামী সফিকের নিজ বসতবাড়ি কালিশিরি গ্রামে। আহত রাশেদা খাতুনের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসীরা  বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পাষন্ড স্বামীর কবল থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় রাশেদা খাতুনকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করে।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ধরে এক সন্তানের জননী গৃহবধু রাশেদা খাতুনকে তার স্বামী সফিক মিয়া যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। গৃহবধু রাশেদা খাতুন একটি নিরীহ পরিবারের মেয়ে। সে তার স্বামীকে যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে তার পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীর সাথে এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে এসময় সফিক মিয়া উত্তেজিত ও ক্ষীপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে ঘরের ভিতরে হাত পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে।

    রাশেদা খাতুনের আত্মচিৎকার শুনে আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে পাষন্ড স্বামীর কবল থেকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। সফিক মিয়া কালিশিরি এলাকার ট্রাক চালক আইয়ুব আলীর কুলাংকার পুত্র। রাশেদা খাতুন জানায়, সফিক মিয়ার সাথে গত ১ বছর পূর্বে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটে।

    এ ব্যাপারে হাসপাতালে সাংবাদিক ভাইয়েরা রাশেদা খাতুনকে দেখতে আসলে রাশেদা খাতুন তার স্বামীর নির্যাতনের কথাগুলো সাংবাদিক ভাইদের কাছে তুলে ধরে। রাশেদা খাতুন বর্তমানে চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিরীহ পরিবারের মেয়ে রাশেদা খাতুন সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।