চুনারুঘাটে মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া নাতনী সেঁজে শিক্ষকতা!

    0
    205

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০ডিসেম্বরঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া নাতনী সেঁজে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হলেন দুই খালাতো বোন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বিভাগ সহ জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ২০১২ সালের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাক-প্রাথমিক শাখায় শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

    যেখানে অন্যান্য বিজ্ঞপ্তির মতোই বিভিন্ন কোটার খাতে মুক্তিযোদ্ধা কোটারও উল্লেখ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের আঃ নূরের মেয়ে ঝুনু আক্তার ও একই গ্রামের ছেরাগ আলীর মেয়ে সালমা আক্তার শেলী মুক্তিযোদ্ধায় কোটায় আবেদন করে। সেখানে তারা নিজেদেরকে একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওয়াহাবের মেয়ের দিকের নাতনী বলে ভূয়া সনদ আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে।

    যার বদৌলতে ওই দুই খালাতো বোন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ঝুনু আক্তার উপজেলার উলুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও সালমা আক্তার শেলী সতং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করে আসছেন। এরপর থেকে তিন বছর ধরে তারা ঐ বিদ্যালয়গুলোতে চাকুরী করে আসছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী সহ এলাকার মাঝে আলোচনা-সমলোচনা চলতে থাকে। বিশেষ করে ওই দুই বোনের চেয়ে অনেক যোগ্য ও মেধাবীরা চাকুরী লাভে বঞ্চিত  হলে বিষয়টি প্রধান আলোচনায় চলে আসে।

    এক পর্যায়ে বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের কাছে পৌছে। উৎসুক সংবাদকর্মীরা গোপনে তথ্য নিতে থাকেন। তখনই বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওয়াহাবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওরা আমাদের গ্রামের লোক। কিন্তু আমার ছেলে বা মেয়ে কোন পক্ষেরই নাতনী নয়। তারা আমার জাল সনদপত্র দাখিল করে চাকুরী নিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে জানিয়েছি। তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

    এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ওই দুই শিক্ষিকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ওয়াহাবকে তলব করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ কোন কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    এ বিষয়ে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ওই দুই শিক্ষিকা এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।