চুনারুঘাটে মহিলার বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা

    0
    404

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১অক্টোবর,ফারুক মিয়াঃ চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের বড়জুষ গ্রামের মৃত মফিজ উল্লার পুত্র আঃ হাই ওরফে আবুল কালাম বাদী হয়ে পূর্ব পাকুড়িয়া গ্রামের মীর হোসেনের মেয়ে শেফুল আক্তার (৪০) কে আসামী করে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমল আদালত-২ এ ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৮/০৮/২০১৫ ইং শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে চুনারুঘাট ডাক বাংলা সিএনজি ষ্টেশনের সামনে প্রতারক শেফুল আক্তারের কাছে পাওনা বাবদ ১০ হাজার টাকা চাইলে শেফুল আক্তার অশালীন ভাষায় যেমন- লম্পট, বদমাইশ, ভন্ড, শালার বেটা ইত্যাদি জনসম্মুখে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করিয়া আবুল কালামের মান সম্মান নষ্ট করে।

    পরবর্তীতে গত ০৭/০৯/২০১৫ ইং তারিখে প্রতারক শেফুল আক্তার সাপ্তাহিক প্রথম সেবা পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় একটি মিথ্যা ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করায়। ইহাতে আবুল কালামকে ভন্ড এবং শেফুল আক্তারের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে আবুল কালামের পরিবার ও সমাজে তার আত্মমর্যাদা ও বংশের মান সম্মান নষ্ট হয়েছে। উক্ত আঃ হাই ওরফে আবুল কালাম তিনি ১৯৮৯ইং সনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষিত ও পুরস্কৃত প্রাপ্ত পশু চিকিৎসক প্রাঃ। তাছাড়া আবুল কালাম একজন মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দাতাও বটে।

    তিনি প্রতিবন্ধি, পানি নীতি অধিকার, তথ্য অধিকার, কৃষি, পোল্ট্রি, পরিবেশ, বৃক্ষরোপন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ই.পি.আই. টিকা, মা-মণি, ভূমি জরিপ ও সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জনসচেতনতা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন এবং তিনি স্থানীয় দুর্নীতি ও অপরাধ দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন যা চুনারুঘাট থানার ডি.আর. নং- ৩০৬১/২০০২ইং প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। শেফুল আক্তার প্রায় দেড় বৎসর পূর্বে কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে তার স্বামী আঃ কদ্দুছ মিয়াকে তালাক প্রদান করে।

    পরে শেফুল আক্তার মিরাশী ইউনিয়নের পূর্ব পাকুড়িয়া গ্রামে প্রায় ৮ বৎসর যাবত তার বাবার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শেফুল আক্তারের আত্মীয় প্রবাসী আলফি মিয়া আবুল কালামের পাওনা বাবদ ১০ হাজার টাকা শেফুল আক্তারের নিকট পাঠালে আবুল কালাম উক্ত টাকা চাইলে শেফুল আক্তার দেই দিচ্ছি করিয়া প্রতারণাক্রমে টাকা আত্মসাৎ করিয়া ফেলে। শেফুল আক্তার গত ০৭/০৯/২০১৫ইং আবুল কালামকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তার ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি করেছে। আবুল কালামকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও পাওনা ১০ হাজার টাকার ব্যাপারে এলাকার মুরুব্বিয়ান কয়েকবার বিচার বৈঠকের আয়োজন করা হলে প্রতারক শেফুল আক্তার বিচারে উপস্থিত হয়নি।

    এ ব্যাপারে আবুল কালাম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতারক শেফুল আক্তারকে আসামী করে ধারা ৫০০/৫০১/৫০২ দঃ বিঃ অনুযায়ী ৫০ লক্ষ টাকার একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য যে, শেফুল আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করার পর থেকে মামলার বাদী আবুল কালামকে মামলা তুলে আনার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আবুল কালামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানীর করবে বলে এলাকায় বলে আসছে। এতে আবুল কালাম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ও তিনি সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।